মোগল-সাম্রাজ্যের অধঃপতন ও ভারতের ' দশ বিপর্য্যয় ( Dela Mazelierear Fātīt sērs) মোগল-আমলের ভারতীয় সভ্যতার স্থল রেখাগুলি ইতিপূৰ্ব্বে প্রদর্শিত হইয়াছে। কিরূপে এই সভ্যতার দ্রুত অধঃপতন হইল এক্ষণে তাহার কারণ অনুসন্ধান করা আবখ্যক । o দুইটি মূল তত্বের উপর মোগল সাম্রাজ্য ংস্থাপিত হইয়াছিল। প্রথম, কেন্দ্রগত শাসন-প্রণালী :– ঔরংজেব দাক্ষিণাপথের সমস্ত রাজ্যগুলিকে বশীভূত কুরিয়া উহাদিগকে রাজধানরূপ কেন্দ্রের শাসনাধীনে আনিতে সচেষ্ট হইয়াছিলেন। বিংশতি বর্ষব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ, এই রাজ্যগুলিকে, মোগল-সাম্রাজ্যকে, এবং সেই সঙ্গে মুসলমান আধিপত্যকেও বিধ্বস্ত করিল। দ্বিতীয়, হিন্দু মুসলমানদিগের মধ্যে মিলন ;—ওঁরংজেবের উৎপীড়নে পূৰ্ব্ব-বিদ্বেষ পুনরুত্তেজিত হইল। যথেচ্ছাচারী ঔরংজব, আক্বীবের কাৰ্য্য বিধ্বস্ত করিলেন ; তাহাব মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই, এই রাষ্ট্রনীতির পরিণাম স্পষ্টরূপে প্রকটিত হইল । কেন্দ্রগত শক্তির দুৰ্ব্বলতা —উত্তরাধিকারের নিয়ম অনিশ্চিত । ইহা হইতেই ষড়যন্ত্র, বেগম মহলের বিবাদ বিসম্বাদ, ইত্যাকাও, বিদ্রোহ। অনেকগুলি মোগল সম্রাট গুপ্তঘাতকের হস্তে নিহত হন। তন্মধ্যে একজনের ( ১৭১২ ) প্রাণদণ্ড হয়, আর একজনের চক্ষু-উৎপাটন করা হয়, আর তাহাকে বেত্রের দ্বারা প্রহার কবা হয়। প্রকৃত প্রভুত্ব সেই নিল্লজ ভ্যাগ্যান্বেষী ওয়াকালদিগের হস্তে ছিল ; তাহারা স্বীয় শত্রুদিগের প্রাণবধ করিত, একই জায়গীরগুলি পুনঃ পুনঃ বিক্রয় করিত, রাজকোষ ও প্রজাদিগের ধন লুণ্ঠন করিত ; প্রায়ই উহার শিশুসম্রাটদিগকে রাজসিংহাসনে বসাইত। এক বৎসরের মধ্যে ( ১৭২- ) এইরূপ তিনজনকে বসাইয়াছিল। সামন্ত শ্রেণীর শাসনকর্তাদিগের ক্রমশঃ স্বাধীনতা লাভ।—দুইজন বড় বড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন-তন্মধ্যে একজন হাইদ্রাবাদের নিজাম ( ১৭২০—৪৮), আর একজন— অযোধ্যার শাসনকৰ্ত্ত (১৭৪২-৪৩)। বাঙ্গালার ও কার্ণাটকের নবাবেরাও এই দৃষ্টাস্তুের অনুসৰণ করে। মহীশূরের রাজাও স্বাধীন হইয়া উঠিয়াছিলেন, কিন্তু অচিরাৎ হাইদর আলি নামক এক ভাগ্যান্বেষী মুসলমানের হন্তে নিপতিত্ত্ব হন। এই হাইদরআলির পুত্র টিপু সুলতান (১৮৮২–৯৯ ) দাক্ষিণাত্যের একজন প্রবল পরাক্রাপ্ত লুধিপতি श्ब्रां डेt?न । * মধ্য-এলিয়া হইতে বিজয়াভিযান।— মোগল-লাম্রাজ্যের অধঃপতনে, মধ্য-এসিয়ার দমার! আবার ভারত আক্রমণ করিল।
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৩৫
অবয়ব