পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\O& 8 দেখয় ও সপ্রতিভ জেরা শুনিয়া মনে মনে প্রীত "হইতেছিল । সে হাসিয়া বলিল— অপরিচিতকে সনাক্ত করা দরকার হবে বুঝে চিঠি সঙ্গেই এনেছি।...এই নাওবলিয়া নবকিশোর পকেট হইতে দুখানি চিঠি বাহির করিল এবং পাছে ভুল হয় এজন্ত সতর্ক হইয়া নিজের নামের চিঠিখানি আগে পকেটে রাখিয়া দিয়া বিপিনের নামের চিঠিথানি হরির মায়ের হাতে দিল । কিন্তু যে-ভুল করিবে না বলিয়া সতর্ক হইতে চাহিয়াছিল, সেই ভুলই ঘটয়া গেল । সকালে তর্কের ঝোকে বিপিনের নাম-লেখা খামে ভট্টাচাৰ্য্য মহশেয়ের চিঠি এবং নবকিশোরের নাম-লেখা খামে হরিবিহারী বাবুর চিঠি স্থান পাইয়াছিল। মালতী স্মৃতিরত্ন মহাশয়ের চিঠিতে তাহার চিঠি পাওয়া হইতে তাহাকে আশ্রয় দেওয়ার সমস্ত বিবরণ অবাকৃ হইয়া পড়িতে লাগিল । মালতীকে স্বামীবিয়োগের দুঃখের পর কয়েকদিন মাত্র শ্বশুরবাড়ীর অনাদব উপেক্ষ সহ করিতে হইয়াছিল ; তখন সে বালিকা মাত্র, তাহার পিতামাতার স্নেহপ্রলেপ তাহাব সকল বেদন শীঘ্রই উপশম করিয়া দিতে পারিয়াছিল। কিন্তু পিতামাতার মৃত্যুর পর তাহার যে দারুণ বেদন মালির কাছে সাত্বনা' পাইবার আশা করিতেছিল, সেই মাসির উদাসীন উপেক্ষ মালতীর বুকে ব্যথার উপর বড় বেশী করিয়া বাজিল। সে মনে মনে মাসির যে স্নেহকল্যাণী মূৰ্ত্তি গড়িয়াছিল তাহা এই আঘাতে একেবারে ভাঙিয়া চুরিয়া এক নিমেষে ধুলিসাৎ হইয়া গেল । তাহার মাসির কাছে তাহার আহত গৰ্ব্বই যে ভারতী শ্রাবণ, ১৩২১ তাহার বিপদের চেয়ে বড় হইয় প্রকাশ পাইয়াছে, এই অপমার্মের আঘাতে তাহার মনের কানায় কানায় পূর্ণ দুঃখ অভিমানের অশ্রুতে উপ্‌চিয়া পড়িতে লাগিল । নবকিশোর মালতীকে কাদিতে শুনিয়া মনে করিল তাই পিতামাতার মৃত্যুশোক । তাই সত্ত্ব দিয়া বলিল-দুঃখ করে না । আমাদের খুড়িমা বড় স্নেহময়ী, তার কাছে গেলে তুমি মাগির যত্নে মায়ের অভাব বুঝতে পারবে না • • • • • • মালতী ক্রন নবিজড়িত দৃঢ়স্বরে বলিল— হঁ্য চিঠিতে যে রকম স্নেহের পরিচয় পাচ্ছি তাতে র্তার স্নেহ বেশী পেতে আর প্রবৃত্তি নেই!" তার কাছে আমি আর যাব না । মালতীর কথা শুনিয়া নবকিশোর আশ্চৰ্য্য হইয়া ভাবিতে লাগিল, একি বলিতেছে ? তারপর হঠাৎ তাহার মনে হইল চিঠি দিতে সে বোধ হয়. গোলমাল করিয়া বসিয়াছে । সে তাড়াতাড়ি পকেট হইতে অপর চিঠিখানি বাহিব করিয়াই বুঝিল যে-কথা সে ঢাকিতে চাহিয়াছিল অসাবধানে তাহ ফঁসি হইয়া গিয়াছে । ইহাতে সে লজ্জিত হইল । মালতীর তেণ্ড দ্বগু বাক্য শুনিয়া তাহার আনন্দও হইল। একটি নিরাশ্রয়া যুবতীর মুখে অয়ন তেজের কথা শুনিয়া নবকিশোর সলজ্জ স্মিতমুখে বলিল—তুমি যদি যাবে না, তবে এখানে তোমার চলবে কি করে ? —কোনো মেয়ে-স্কুলে চাকরী নেৰ । আমি একলা মানুষ বৈ ত নয়, কোনো রকমে চলে যাবেই । 爱 বাঙালী হিন্দু ঘরের মেরে এমন স্বাক চম্বনের সাহস আছে, নবকিশোরের সে জ্ঞান