পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8°C● জাদুরে ছেলে রমানাথ শরীরের যত্ন করিতে জানিত না, কাজ কৰ্ম্ম কিছুই শিখে নাই— বিমাতা অত্যন্ত ঘরে সহিত তাহার এই সকল দোষ-ক্রট ক্ষালন করিয়া তাহাকে মানুষ করিয়া তুলিবার প্রয়াস পাইলেন। পড়া-গুনায় রমানাথের মন ছিল না, পাঠ্য গুস্তকের অস্তিত্বে প্রায়ই তাঁহাকে সন্দিহান থাকিতে হইত। অর্থের এরূপ অযথা অপব্যয়ে লক্ষ্মী ছাড়িয়া যান –এরূপ অমিতব্যয়িতার প্রশ্রয় দিয়া পুত্রের মস্তক-ভক্ষণরূপ শক্রতা সাধন ত • আর তাহার দ্বারা সম্ভব নহে ! অগত্য লেখাপড়ার দায় এড়াইয়া রমানাথ পথে পথে ডাগুtগুলি থেলিয়া বেড়াইতে মুরু করিল । ব্যবসায়ী লোক কৃষ্ণধন ছেলের • সামান্ত জমাখরচ বোধ হইলেই খুলী হইতেন, যখন শুনিলেন, ছেলের পড়ায় আদে মন নাই, সে স্কুল ছাড়িয়া দিয়াছে, তখন তিনি নিশ্বাস ফেলিয়া কহিলেন, “ছেলেটা মানুষ হলো না! আমি চোখ বুজলেই দেখছি এত बड़ कांबदांज्ञछै। भां श्रद्र यां८द-शब्रि cश् দয়াময় !” কৃষ্ণধনের দ্বিতীয় পক্ষের শুtলক নিকুঞ্জবিহারী দিদির নিকটে থাকিয়া লেখা পড়া শিখিতেছিল ; এবং কৃষ্ণধনের অবর্তমানে কারধারটা যে মাটি হইয়া যাইবে না, ভগিনী ও ভগিনী-পষ্ঠির মনে এমন ভরসাও উদ্রেক করিয়া তুলিতে সে ক্রটি রাখে নাই। , সময় কাহারও জন্ত অপেক্ষা করে নারমানাথেরও দিন কাটিতে ছিল—তাহার অনেকগুলি ছোট ছোট ভাই-ভগিনী হইয়াছিল। রমানাথ তাহদের কোলে • পিঠে করিয়া বেড়ায়–অবসরমত নিকুঞ্জেব পরিত্যক্ত বইগুলা নাড়িয়া দেখে। বয়সের ভারতী’ o রাশি রাশি কবিতা লিখিয়া ফেলিল। দুর্ভাগ্যবশতঃ লবঙ্গলতার ভাদ্র, ১৩২১ সহিত পঠেs.তাহার শহরাগ জন্মিতেছিল— ক্রমে সে দেখিল, পাঠে আনন্দ আছে। কালির আঁচড়গুলা ফুর্ভেদ্য দুর্গপ্রাচীরের মত একান্তই অলঙ্ঘনীয় নহে, প্রবেশ ও নির্গমের মুন্দর বয়ও বিদ্যমান আছে। নুতন নেশায় অনেকগুলা বাঙ্গল নভেল সে পড়িয়া ফেলিল—আর এই নভেল-সংগ্রহের সূত্রে তাহার এক কবি বন্ধুও জুটয় গেল। তাহারই সংসর্গে পড়িয়া রমানাথের কবি ও লেখক হইবার সাধ হইল। লুকাইয়া সে কিন্তু চক্ষে একখান কবিতার কাগজ একদিন পড়িয়া গেল। লবঙ্গ লেখা-পড়া জানিত—সে পড়িয়া দেখিল, কবিতাটা প্রণয়িনীর উদ্দেশে লিখিত— প্রখম যেদিন দেখা তোমায়-আমায়,— মনে পড়ে সে দিনের কথা । কি আলোক, কি পুলক ভরে ছিল বুকে, - কত আকুলত । মনে পড়ে, বসন্তের জ্যোৎস্ন! যামিনী, ঢেলেছিল কি মধু কিরণ। মনে পড়ে, বাতাসের কত আনাগোনা, লুটি ফুল-বন। লাজ আছে জ্যোৎস্না-নিশি, আজও সে বাতাস t পরশিয়া বহিছে তেমনি । আজও আছি তুমি-অমি, শুধু মাঝে নাই, সেদিনের সেই প্রাণখানি । কবিতা পড়িয়া লবঙ্গ অবাকৃ হইয় গালে হাত দিয়া রহিল। এত-বড় ব্যাপারটা গোপন রাখিয় ছেলের সর্বনাশের পন্থী সুগম করিয়া দেওয়া কিছু মায়ের কর্তব্য নহে, কাজেই কথাটা কৰ্ত্তার কানে উঠিল। ব্যাপার শুনিয়া কৃষ্ণধন রুদ্রমূৰ্ত্তি ধারণ করিলেন—