বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৫৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૬૧૩ g , छांब्रडौ * আনন্দিত হইত এবং তাঙ্গর মুখ সৌভাগ্য, ও দীর্ঘজীবন কামনা করিয়া তাহাকে কত আশীৰ্ব্বাদ করিত। . নিরীহ ইতর জীব মাত্রই তাহাকে দেখিয়া খুলী হইত। পক্ষান্তরে ঘরের জীবজন্তুরা, তাহার বিমাতাকে দেখিলেই তাহাদের আন্তরিক বিরাগ প্রকাশ করিত। কুকুর ভেউ ভেউ করিয়া ডাকিয়া উঠিত, বিড়ালু তাছাকে আঁচড়াইবার চেষ্টা করিত, · সে দুধ দুইতে গেলে গৰু তাহাকে দুধ হিতে দিত ন ঘাড় তাকে আড়চখে-আড়চখে দেখিত, ঘোড়া ক্ষেপিয়া উঠিত, ছাগল ও ভেড়া পলাইয়। যাইত। কিন্তু ঐ সব জীবজন্তুই অভ্রবতীকে দেখিলে, তখনই তাহার চারিদিকে ঘিরিয়া দাড়াইত, তাহাকে আদর করিত, তাহার হাত চাটিত, তার কাছে আসিবার জন্ত আপনাদের মধ্যে ঠেল!ঠেলি করিত। গরু আপনা হতেই এমন ভাবে দাড়াইত যে অভ্রবর্তী সহজে দুধ ছড়িতে পারে । যখন সে জল আনিতে যাইত, আবশুক হইলে তাহাকে, রক্ষা করিতে পরিবে এই মনে করিয়া কুকুর তাহার পিছনে পিছনে যাইতু ; এবং তাছার হুকুম শুনিবার জন্ত সৰ্ব্বদাই প্রস্তুত থাকিত। . . ' কিন্তু,এই সময় একটা জনধিউঠিছিল যে, ঐ গ্রামে কিংবা গ্রামের আশপাশের মাঠ ময়দামে কোন অল্পবয়স্ক, স্ত্রীলোক গেলে, সে আর ফিরিয়া আসে না ; সেখানে একটা অজাগর অাছে, সেই অজাগর তাহাদিগকে ভক্ষণ করে। অন্ত্রবতী প্রায়ই একলা থাকিত, এ বিপদের কথা জানিত না ; কিন্তু তাহার বিমাতা এ খবর জানত, তাই সে মনে মনে খুর্দী হুইয়াছিল। সেই দুই রমণী মনে মনে आश्विन, १७२४ ভাবিল,—আমি যদি উহাকে গরু চরাইতে 'মাঠে পাঠাই, তাহা হইলে সে অজাগরের কবলে পড়িবে।” তাই একদিন, সে অত্রবতীর নিকট একটা গরু ও একটা ভেড়া আনিয়া আদেশ করিল—“ইহাদিগকে তুমি মাঠে চরাইতে লইয়া যাও।” আরও বধিলে—“সমস্ত দিনের আহারের জন্ত এই রুটি লষ্টয়া যাও, আর স্থত কাটিবার এই টেকোটা লইয়া যাও। টেকোয় সমস্ত স্বতা জড়ান হইলে তবে রাত্রে ফিরিয়া আসিবে ।” যেখানে খুব লম্বা লম্বী ও ঘননিবিড় ঘাস ছিল, বালিকা গরু ও ভেড়াদিগকে তাড়াইয়। সেইখানে লইয়া গেল। উহার চরিতে লাগিল, আর অভ্রবর্তী মাটিতে বসিয়া স্থত কটিতে আরম্ভ করিল। কুকুর পিছনে পিছনে আসিয়াছিল, সেও অভ্রবর্তীর কাছে আসিয়া বসিল । • স্বৰ্য্য অস্তের একটু পুৰ্ব্বে তাহার টেকোতে স্বতা জড়ান শেষ হইয়ছিল। গরু ও ভেড়াকে গৃহে লইয়া যাইবার জন্ত সে উঠিল ; উঠিব৷মাত্রই হঠাৎ তাছার সম্মুখে এক সুন্দরী ও মধুরদর্শন বৃদ্ধাকে দেখিতে পাইল । অজাগরের পিতা রাজাকে যে রমণী স্বপ্নে দেখা দিয়াছিল.এ সেই বৃদ্ধ। পাছে তাছার কুকুর বৃদ্ধাকে দংশন করে এই ভরে সে তাড়াতাড়ি কুকুরের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । কিন্তু সেই বৃদ্ধ রমণী । হালিমুখে এইরূপ বলিল – ū “অভ্রবতি, ভয় পাইও না, কুকুর আমাকে কাম গষ্টবে, না। ও পেশ বুঝতে পারিয়াছে, আমি একজন বন্ধু। দেখুছনী, ও কেমন খুনী হয়ে লেজ নাড়চে r” অভ্রবর্তী বলিল,-“কি তুমি কে ? মা তোমাকে