পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৬০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७४श्रृं १र्ष, बई ज९९ा নকলচাদ বাবাজীর পায়ে আলিয়া পড়িলেই . তে সব গোল চুকিয়া যায় । এই সব কথা ভাবিতে ভাবিতে তার মন যখন বিশ্বসংসারের সমস্ত মানবের দুর্দশায় কাতর হইয়া উঠিত তখন সে দূর হোকুগে-ছাই বলিয়া আবার চিত্ত স্থির করিবার আয়োজনে বসিয়া যাইত । এমনিতর ছায়ার মানুষ লইয়া মুক্তিকে ঘর করিতে হইত। স্বামীর যে একটা অস্তিত্ব আছে তাহ সে অসুভব করিলারই সুযোগ পাইত না। স্বামীর আদর তো ছিলই, ন, অত্যাচারটাও যদি থাকিত, তা হইলেও না হয় সেই অত্যাচারের আঘাতে স্বামীব একটা ছাপ তার উপৰে পড়িতে পাইত। কিন্তু যেখানে কেবল অবহেলা সেখানে, মানুষের সঙ্গে মামুযেৰ কোনো সম্বন্ধই জমিয়া উঠিতে পায় না। তা ছাড়া মুক্তি ছিল একলা-ঘবের একলা মানুষ , আরপাচ জনকে লইয়া যে তার হৃদয়ের ছন্দ উঠিবে পড়িবে তার ও জো ছিল না। কাজেই সে আপনার মধ্যে আপনি এত সঙ্কুচিত হইয় পড়িয়া থাকিত যে তার দুঃখী-ঘরের আসবাবহীন ফাঁকা জায়গাও সে বেশি-করিয়া জুড়িতে পারিভ না । দিনের পর দিন' কাটিঙ্গ যাইত, প্রতিদিনের কৰ্ত্তব্যগুলি সৈ একটির পর একটি কব্লিয় সারিয়া রাখিত, ভাহাতে তার, আনাও ছিল না, দুঃখ ছিল না । কলেৰ পুতুল যেমন কৰি চলে ফেরে তেমনি করিয়া সে চলিত ফিরিত। কেবল একজায়গায় একটুখানি পাইয়াছিল । '?? সে মানুষকে সে বামার মা । মুক্তি VW 3 সে ছিল ঠিক দাসা। যে দুঃখী-পাড়ায় মুক্তিরা থাকিত এই বামার মা ছিল সেই গ্ৰীড়ার একমাত্র দাসী । সে সকাল বিকাল ফু বেলা সদব রাস্তার ধারে বসিয়া পান বেচিত, দুপুব বেল ঝড়ের মতো পাড়ার মধ্যে আসিয়া ঘরে ঘরে নির্দিষ্ট মতে কাজ করিয়া দিয়া চলিয়া যাইত, কেউ যদি এতটুকু অতিরিক্ত ফরমাস করিত তো অমনি গর্জন করিয় উঠত। তার সেই মারমূৰ্ত্তি দেখিয়া কেউ-অার দ্বিরুক্তি করিবার সাহস করিত না । . . so বামার মীর সঙ্গে পড়ার কারুরই আর-কোনো সম্পর্ক ছিল না, কেবল কাজের সম্পর্কই ছিল । . কাজ সারা হইলেই সে ছুটিয়া পালাইত, কাহারে পানে ফিরিয়ু ,डांकाहेड না—দুদণ্ড দাড়াইর কথা কহিবার অবসর তার ছিল ন} । কাজেই বহুদিন পর্যন্ত মুক্তিত্ব নিঃসঙ্গ জীবনের উপর বামারমা নিজের ছয়টুকুপৰ্য্যন্ত ফেলিতে পারে নাই। কিন্তু একদিন সে ধরা পড়িয় গেল। . <> মুক্তির হর হইয়াছিল। সে একলাট পড়িয়াছিল। সেদিন তার স্বামীর ছুটির দিন, কিন্তু গুরুজীর আড্ডায় আজ ভারি* এক মোচ্ছব, 'कोप्छर्दै সে তাড়াতাড়ি বাহির श्हेब्र cग, মুক্তির দিকে ফিরিঙ্ক তাকাইবার সময় হইল না। তার পর দুইদিন একেবারে অদৃপ্ত। উৎসবের উল্লাসে বাবাজীর শিষ্যের এতটা চিত্ত স্থির করিয়া ফেলিয়াছিল যে তাহ দেখিয়া আশপাশের লোকদের ” চকুস্থির হইবা উপক্রম হইয়াছিল--হুদিন