পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بن و هی শাসন ছিল, আদর ছিল না। এই নিজেকে : গোপন্ন করিয়া চলাটা মুক্তির এমন স্বাভাবিক হইয়t.গিয়াছিল যে স্বামীর কাছেও নিজের হৃদয়টিকে সে মেলিয়া ধরিতে পারে নাই । স্বামীও তাহাকে পাইরার জন্য কোনো দিন কোনো আগ্রন্থ ‘প্রকাশ করে নাই। বেচারীকে দোষ দেওয়া যায় ন, কারণ সে জিনিষটা তার ধাতেই ছিল না। r. " . মুক্তির স্বামী কলিকাতার কোন আপিসে অল্প-মাহিনায় সামান্ত চাকরি করিত। সে এ-সংসারে বেশি-কিছু চাহিত না, অল্পেতেই খুসি ছিল এবং সেই অল্পটুকুও না পাইলে বিরক্ত হইয়া উঠিবার মতো তেজ তার ভিতরে ছিল না। সে ছিল নিরীহ ভালেমানুষ। তার এই নিরীহত এতটা বিরাট ছিল যে কোনোরূপ উত্তেজনাই তাছাকে তেমন করিয়া চঞ্চল কুরিয়া তুলিতে পারিত না । তার উপরে সে ছিল নরুলচর্দ, বাবাজীর . শিধ্য। এমন গুরুভক্ত শিষ্য কলিকালে দুর্লভ। সে চিত্ত স্থির করিবার জষ্ঠ গুরুর উপদেশে, প্রতিদিন, গঞ্জিকা লেবুল , করিত। তার খুঁজার মাত্রা ক্রমেই এমন বাড়িয়া উঠিতেছিল যে লোকে সন্দেহ করিতে লাগিল কোন দিন বা সে চিত্ত-স্থির-রাখা বিষয়ে অতৃবড় মহাত্মা নকলচাদ বাবাজীকেই ছাড়াইয়া উঠে। , • , নকলচাদ বাবাজী চক্ষুমুদিয়া উপদেশ দিতেন—কামিনী-কাঞ্চনের মোহ বড় ভয়ঙ্কর .মোহ! །རྨ་འུ༣ छाशःउद्दे. মরে ; মানুষ তেমনি করিয়া ভারতী .,डांइ cडl ७-वाजा মাছ , যেমন জালে আটকায় আশ্বিন, ১৩২১ এই ‘ কামিনী-কাঞ্চনের মায়াজালে পড়িয়া নরকে ডুবিয়া মরিতেছে! -- মুক্তির স্বামী গুরুর এই অমূল্য উপদেশ গদগদচিত্তে জোড়হাত করিয়া বসিয়া শুনিত এবং তাহ পালন করিবার বিধিমত চেষ্টা করিত। কাঞ্চনসম্বন্ধে সে একরূপ নিশ্চিন্ত ছিল, তার দায় বড় ছিল না, কারণ সে জিনিযটা আসিবার পথেই ফিরিয়া স্যাইত এবং অধিকাংশ সময়ই তার আসিবার বালাই থাকিত না । কিন্তু কামুনীটি তে তেমন নয়—সে যে দিনরাগ্রি চোখের সামনে জাজ্জল্য হুইয়া আছে। “সেই জন্ত মুক্তির স্বামী যতক্ষণ বাড়িতে থাকিত চিত্ত-স্থির-রাখিবার মহৌষধ ভক্তিভবে সেবন করিত। সে ' মনে মনে তারিফ করিত—কি আশ্চৰ্য্য ,জুব্যগুণ ! মামুষের এত বড় শক্র যে কামিনী তাও এই দ্রব্যগুণে একমুহূর্তে চোখের সামনে হইতে সাফ পরিষ্কার হইয় যায়,—তার , চিহ্নমাত্রও থাকে ন! এমন জিনিষ থাকিতে মানুষ কেন সংসারের পাকে ডুবিয়া মরে সে ভাবিয়া পাইত না। এ কি সামান্ত জিনিষ। যোগসাধনের চরম অবস্থা যে “ সমাধি তাও এই দ্রব্যগুণে মুহূর্বের মধ্যে করায়ত্ত হয়। কোনো সাড়া নাই, শব্দ নাই—এত বড় জগৎখানাই কোথায় । তলাইয়া যায়। ভাগ্যে সে নকলচাদ বাবাজীকে পাইয়াছিল রক্ষা পাইয়া গেল । সে ভাবিত মানুষগুলো কি বোকা ।“ এমন সাধু মহাত্মা জলজ্যাস্ত থাকিতে লোকে কিনা হা ঈয়, ছা বস্ত্র করিয়া কাদিয়া মরে ?