পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

g সময় পাওয়া গেছে। আমাদের যুবক সম্প্রদায়, ভাইকে অপূৰ্ত করে তুলতে চায় না ; ছত্রিশ t জাতকে ভাই করে নিতে চায় । যে সাম্য, ধে মৈত্রী ও যে স্বাধীনতার ভাব চৈতন্ত প্রথমে এদেশে প্রচাব করেন—সেই ভাবের উপরই বাঙ্গালীর নবঙ্গাধন গঠিত হয়ে উঠছে। ইউরোপীয় সভ্যতাব উত্তর-সাধকতায়, মব্য-তান্ত্রিকের যে সাধনীয় প্রবৃত্ত হয়েছেন, সমাজ কোন ছায়াময়ী বিভীষক দেখিয়ে তাদের • সে সাধন থেকে বিচলিত করতে পারবে না। ... • 建 (s) 尊 ব্রাহ্মণ-মহাসভা যে নিজেদের হস্তম্পিদ করেছেন, তার বিশিষ্ট কারণ হচ্ছে এই যে, মানুষে নিজেব ক্ষমতার সম্পূর্ণ অতিরিক্ত কাজ । করতে গেলে নিজে কাদত্ত্বে পারে ; কিন্তু . অপরকে হাসায়, প্রথমতঃ হিন্দুসমাজ শাস্বশাসিত নয় ; লোকাচার-চালিত। q যে “ এইভাবে চলে আসছে তাধ প্রমাণ भूकं*छड़े १७श शब। नन्न ७ ११॥ স্বীকার করেছেন ; শুধু डाइँ नग्न, उँाब भय्ङ লোকাচাব এত প্রবল যে তার উপর হস্তক্ষেপ করবার ক্ষমতা রাজাবঃ নেই। মনু প্রভৃতি ধৰ্ম্মশাস্ত্রের পাত একবার, উণ্টে দেখলেই দেখা যায় যে, বর্তমান বাঙ্গালী-হিন্দুসমাজ মনুর শাস্ত্রেব বিধি-নিষেধ শতকরা পাঁচটিও পালন করেন না। শাস্ত্রে বলে লোক সমাজ,-লেকচার, দেশাচার ও কুলাচারের বশবর্তী। বাঙ্গালী হিন্দুসমাজ এই তিনটির উপর আর একটিবও বিশেষ অধীন—সেটি হচ্ছে স্ত্রী আচার। সুতরাং হিন্দু . সমাজ আবহমানকাল . বৈশাখ, ১৩২১ সমাজের বিধি-নিষেধ পুথিতে নেই, আছে, পাজিতে । এ অবস্থায় শাস্ত্রের সাহায্যে সমাজকে কি করে শাসন কব য়েতে পারে— ত আমব বুদ্ধির অগম্য। লোকাচার রক্ষা করবাধ জন্ত শাস্ত্রেণ আবখ্যক নেই ; লোকাচার নষ্ট করবার জন্ত শাস্ত্র অনেক সময়ে আমাদেব হাতে অস্ত্র । শাস্ত্রকে এই অস্ত্র হিসেবেই রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং দয়ানন্দ স্বামী ব্যবহার করেছেন। ব্রাহ্মণ মহাসভার প্রথম ভুল এই যে, তারা শাস্ত্রের সাহায্যে লোকাচারের প্রতিষ্ঠা করতে চান। এদের দ্বিতীয় ভুল, এই যে, এরা ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতের দ্বারা সমগ্র হিন্দুসমাজকে শাসন করতে চান । হিন্দুসমাজ বলে কোনও একটা সমগ্র সমাজ নেই। আমাদের হাজাবো- এক জাতিব এবং তাদের শাথ৷ উপশাখার সমাজ সব স্বতন্ত্র সমাজ । এই অসংখ্য খণ্ড সমাজসকল সব স্বস্ব প্রধান, কোনও বিশেষ জাতির কিম্বা কোন বিশেষ শ্ৰেণীব লোকের শাসনাধীন নয়। অবশ্য এ সকল সমাজেই ব্রাহ্মণের প্রভুত্ব আছে। কিন্তু সে হচ্ছে ধৰ্ম্মযাজক হিসেবে ;-সমাজের শাসনকৰ্ত্তা হিসেবে নয় । ব্রাহ্মণেতর বর্ণের নিকট ব্রাহ্মণের মত, ক্রিয়া-সম্বন্ধে —কৰ্ম্ম সম্বন্ধে নয়। বাঙ্গলার কায়স্থসমাজ বিলোতফেরতকে সমাজভুক্ত করে নিয়েছেন এবং খচ্ছি। উপবীত ধারণ করছেন । ব্রাহ্মণসমাজের এমন কোনে ক্ষমতা নেই যাতে করে এর জন্ত কায়স্থসমাজকে হিন্দুসমাজ বহিস্কৃত করে দিতে পারেন ; কিম্বা কাস্থদের আবার শূদ্রত্ব অঙ্গীকার করাতে পারেন "