পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ત মেঘনাদ-বধ কাব্য। بهد (छांङ्गडौं या s२४४ |.. | ময়, কৌশলময়, ঠিক যেন প্রমীলা খুব এক কথা বলিয়া লইয়াছেন, তাহীর ত একটা উপযুক্ত উত্তর দিতে হইবে, এই জন্য কহিতেছেন, “ইন্দ্ৰজিতে জিতি তুমি, সতি, বেঁধেছ যে দৃঢ় বঁধে, কে পারে খুলিতে সে বঁাধে” ইত্যাদি । אי সমস্ত মেঘনাদবধ কাব্যে হৃদয়ের উচ্ছসি ! ময় কথা অতি অল্পই আছে, প্রায় সকল গুলিই কৌশলময়। ৩য় সর্গে যখন প্রমীলা রামচন্দ্রের কটক ভেদ করিয়া ইন্দ্ৰজিতের নিকট আইলেন তখন ইন্দ্রজিৎ কহিলেন “রক্তবীজে বধি তুমি এবে বিধুমুখী, আইলা কৈলাস ধামে” ইত্যাদি প্রমীলা কহিলেন “ও পদ-প্রসাদে, নাথ, ভববিজয়িনী দাসী, কিন্তু মনমথে না পারি জিনিতে। |. অবহেলি শরানলে, বিরহ অনলে (দুরূহ। ডরাই সদা ;” ইত্যাদি— যেন স্ত্রীপুরুষে ছড়া-কাটাকাটি চলি | তেছে। পঞ্চম সর্গের শেষ ভাগে পুনরায় ইন্দ্ৰজিতের অবতারণ করা হুইয়াছে। "কুমম শয়নে যথা স্ববর্ণমন্দিরে, বিরাজে রাজেন্দ্র বলী ইন্দ্রজিৎ, তথা পশিল কুজন ধ্বনি সে মুখ সদনে। জাগিল বীর-কুঞ্জর কুঞ্জবন গীতে। প্রমীলার করপদ্ম করপদ্মে ধরি । রথীন্দ্র, মধুর স্বরে, হায়রে, যেমতি . নলিনীর কানে অলি কহে গুঞ্জরিয়া প্লেমের রহস্য কথা, কহিলা (আদরে 1. চুদ্ধি নির্মালিত আঁখি) "ডাকিছে কৃজনে, -می - ماسهای این دانشنامه به سم. ت: অাবার একটি যথা আসিয়াছে হৈমবতী উষা তুমি, রূপসি, তোমারে পার্থীকুল ! নিল প্রিয়ে, কমল-লোচন। r« উঠ, চিরানন্দ মোর, স্থৰ্য্যকান্ত মণিসম এ পরাণ কান্তা, তুমি রবিচ্ছবি ;— তেজোহীন আমি তুমি মুদিলে নয়ন। ভাগ্যত্নক্ষে ফলোত্তম তুমিহে জগতে আমার! নয়ন তারা ! মহার্হ রতন । উঠি দেখ শশিমুখি, কেমনে ফুটিছে, চুরি করি কান্তি তব মঞ্জু কুঞ্জবনে কুসুম !” ইত্যাদি এই দৃশ্যে মেঘনাদের কোমলতা সুন্দর বর্ণিত হইয়াছে। প্রমীলার নিকট হইতে ইন্দ্ৰজিতের বিদায়টি সুন্দর হইয়াছে, তাহার মধ্যে বাকচাতুরী কিছুমাত্র নাই। কিন্তু “যথা যবে কুসুমেৰু ইন্দ্রের আদেশে রতিরে ছাড়িয়া শূর, চলিলা কুক্ষণে, ভাঙ্গিতে শিবের ধান ; হায়রে, তেমতি চলিল কন্দৰ্প রূপী ইন্দ্রজিৎ বলী, ছাড়িয় রতি প্রতিমা প্রমীল সতীরে । কুলগ্নে করিলা যাত্রা মদন ; কুলগ্নে করি যাত্রা গেলা চলি মেঘনাদ বলী— বিলাপিলা যথা রতি প্রমীলা যুবতী।” ইত্যাদি । , বলপূর্বক ইন্দ্রজিৎকে মদন ও প্রমীলাকে রতি করিতেই হুইবে । রতির ন্যায় প্রমীলাকে ছাড়িয়া মদনের ন্যায় ইন্দ্রজিৎ চলিলেন, মদন কুলগ্নে যাত্রা করি য়াছিলেন, ইন্দ্রজিৎও তাঁহাই করিলেন | তখন মদন ও ইন্দ্রজিৎ একই মিলিয়া গেল, আর রতিও কাদিয়াছিলেন, রতিরূপিণী