পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"করুণ । (ভারতী আ ১২৮৮ দিল । নরেন্দ্র কলিকাতায় চলিয়া গেলেন, | করুণ দুই একবার বারণ করিল, কিছু ইঁ। | হু না দিয়া লক্ষেী ঠংরি গাইতে গাইতে | নরেন্দ্র প্রস্থান করিলেন। যতক্ষণ নরেন্দ্রকে দেখা যায় করুণা চাহিয়া রহিল। নরেন্দ্র | চলিয়া গেলে পর সে বালিশে মুখ লুকাইয়া কঁদিল। কিয়ৎক্ষণ কাদিয়া মনের বেগ | শাস্ত হইতেই চখের জল মুছিয়া ফেলিয়া পাখীটি হাতে করিয়া লইয়া অন্তঃপুরের বাগানে মালা গাঁথিতে বসিল । বালিকা স্বভাবতঃ এমন প্রফুল্ল হৃদয় যে, বিষাদ অধিক ক্ষণ তাহার মনে তিষ্টিতে | পারে না। হাসির লাবণ্যে তাহার বিশাল | নেত্র ছুটি এমন মগ্ন যে রোদনের সময়ও অশ্রুর রেখা ভেদ করিয়া হাসির কিরণ | জ্বলিতে থাকে । যাহা হউক্‌ করুণার চপল ব্যবহারে পাড়ীর মেয়ে মহলে বেহায় বলিয়া তাহার বড়ই অখ্যাতি জন্মিয়াছিল,“বুড়tধাড়ি মেয়ের” অতটা বাড়ীবাড়ি তাহদের ভাল } লাগিত ন}.। এ সকল নিন্দার কথা করুণা বাড়ির পুরাতন দাসী ভবির কাছে সব শুনিতে পাইত ; কিন্তু তাহাতে তাহার আইল গেল কি? সে তেমনি ছুটাছুটি করত,সে ভবির | গলা ধরিয়া তেমনি করিয়াই হাসিত, সে সন্ন হইয় পড়ে, বর্ষার সলিল সেকে, বসন্তের বায়ু বীজনে আর বোধ হয় সে মাথ । তুলিতে পারে না । নরেন্দ্র অন্থপের যে অর্থ পাইয়াছিলেন, তাহাতে পল্লিগ্রামে বেশ মুখে স্বচ্ছন্দে | থাকিতে পারিতেন । অনুপের জীবদ্দশায় ক্ষেতের ধান, পুকুরের মাছ ও রাগানের শাক-সবজি ফল মূলে দৈনিক আহার ব্যয় যৎসামান ছিল । ঘটা করিয়া স্কুর্গোৎসব সম্পন্ন হুই ত, নিয়মিত পূজা অৰ্চন দান ধ্যান, ও আতিথ্যের বায় ভিন্ন আর কোন ব্যয়ই ছিল না। অকুপের মৃত্যুর পর অতিথিশালাটি বাবুর্চিখানা হইয়া দাড়াইল । ব্রাহ্মণগুলার জ্বালায় গোট চারেক দরোয়ান রাখতে হইল, তাহারা প্রত্যেক ভট্টাচাৰ্য্যকে রীতিমত অৰ্দ্ধ চন্দ্রের ব্যবস্থা করিত, এবং প্রত্যেক ভট্টাচাৰ্য্য বিধিমতে নরেন্দ্রকে উচ্ছিন্ন যাইবার ব্যবস্থা করিয়া যাইত । নরেন্দ্র গ্রামে নিজ ব্যয়ে একটি ডিস্পেন্সর স্থাপন করিলেন। শুনিয়াছি নহিলে সেখানে ব্রাণ্ডি কিনিবার অন্য কোন সুবিধা ছিল না । গবর্ণমেণ্টের সস্তা দোকান হইতে রায় বাহাদুরের থেলামা কিনিবার জন্য ঘোড়দৌড়ের চাদা পুস্তকে হাজার | পার্থীর কাছে মুখ নাড়িয়া তেমনি করিয়াই | গল্প করিত। কিন্তু এই প্রফুল্ল হৃদয় একবার | যদি বিষাদের অঘাতে ভাঙ্গিয়া যায়, এই হাস্যময় অজ্ঞান শিশুর মত চিন্তাশূন্য সরল মুখস্ত্র একবার যদি দুঃখের অন্ধ কারে মলিনু, হুইয়া যায়, তবে বোধ হয় বালিকা আহত । লতাটির ন্যায় জন্মের মত ম্ৰিয়মাণ ও অব টাকা সই করিয়াছিলেন, এবং এমন আরো অনেক সৎকাৰ্য্য করিয়াছিলেন যাহা লইয়া অমৃত বাজারের একজন পত্রপ্রেরক ভারি ধুমধাম করিয়া একপত্র লেখে,তাহার প্রতিবাদ ও তাহার পুনঃ প্রতিবাদের সময় অযু লক অপবাদ দেওয়া যে ভদ্র লোকের আকপ্তব্য ইহা লইয়। অনেক তর্ক বিতর্ক হয় ।