পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . . . দিব রাত্রি উৎপাদন করিতেছেন । দিনের পর রাত্রি, রাত্রির পর দিন পুনঃপুনঃ ফিরিয়া আইসে, মনুষ্য জন্সিয়াই ইহা দেখিতে } পায় । তাহা লইয়া পক্ষ, মাস, বৎসর, শত বৎসর, যুগ প্রভৃতির কল্পনা করে। এ সকল স্থল কাল। এইরূপ স্বক্ষকালও আদিম মানবের কল্পনার বিষয় হইয়াছিল স্পষ্ট প্রমাণ হয় । যাম, অৰ্দ্ধমাম, মুহূৰ্ত্ত, দণ্ড, দণ্ডাৰ্দ্ধ,— | পল, অকুপল, বিপল, ক্রটি প্রভৃতি প্রাচীন প্রাচীন শব্দ সকল উহার সাক্ষ্য-স্থল । দণ্ড, দণ্ডাৰ্দ্ধ প্রভৃতি স্বল্পকাল সকল কি বর্তমান কালিক কি প্রাচীন কালিক ব্যক্তি মাত্রেরই প্রয়োজনীয় । মনে করিবেন না | cप, প্রথম কালের মানবদিগের অত স্বক্ষ | কালের প্রয়োজন ছিল না । স্বহ্মকালের প্রয়োজন ছিল বলিয়াই তদ্বোধক শব্দ-রাশি উৎপন্ন হয়। যখন দেখা যাইতেছে যে, প্রাচীন কালেও স্বহ্ম স্কুষ্ম কালের ব্যবহারের আবশ্যকতা ছিল এবং তম্বোধক শব্দ ছিল, তখন অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে যে, সেই সেই কাল নির্ণয় করিবার কোন না কোন উপায় ছিল। বৈদিক কালের যন্ত্রবিদ্যা পর্যালোচনা করিলেই সেই সেই হুক্স কালের ব্যবহার-সত্তা নির্ণয় হয়। অতএব স্বক্ষকালের ব্যবহার এবং তাহার নির্ণয়েপায় সকল আমাদের পূর্বপুরুষদিগের অ| জ্ঞাত ছিল না । } অনুসন্ধান দ্বারা জানা যায় যে, অতি প্রাচীন কালে সুক্ষ্ম বা খণ্ড কাল-গুলি স্বাভাবিক ঘটনা দ্বারা নির্ণীত হইত। শব্বোচ্চারণ, শ্বাস-প্রশ্বাস, f প্রাচীন ভারতের শিল্প । , মমুৰ্য্য-দেহের । (ভারতী ক| ১২৮৪ রক্ত সঞ্চালন (নাড়ীর গতি), সুৰ্য্যের ছায়, চক্ষের নিমেষ নক্ষত্রের উদয়াস্ত ইত্যাদি । এই রূপে প্রত্যেক দিব রাত্রের নিয়fমত নৈসর্গিক ঘটনা অবলম্বন করিয়া তাহার ভাগ প্রভাগ দ্বারা কাল নির্ণয় হইত। ক্রমে ঐ সকল নৈসর্গিক প্রক্রিয়। আদর্শ করিয়া কৃত্রিম প্রক্রুিয়ার আবির্ভাব হইল। ছায়-যন্ত্র (সন ডাঁয়্যাল) ধনুর্যন্ত্র, চক্ৰযন্ত্র, তোয়যন্ত্র (জল-ঘড়ি বা তামী ঘড়ি), ময়ূর, নর ও বানরাকৃতি যন্ত্র প্রভৃতি বিবিধ কালজ্ঞান-সাধন যন্ত্রের আবির্ভাব হ. ইল। অবশেষে তৎপরে পারদ ও জল-ঘটিত গ্রীষ্ম বর্ষাদি পরিমাপক যন্ত্রও (থৰ্ম্মোমেটর | ও ব্যারোমেটর) স্বল্প হইয়াছিল । এ সকরের বিশ্বাস্য প্রমাণ ও নিৰ্ম্মাণ-কৌশল প্র: | ভূতি পরে প্রদর্শিত হইবে। শব্দোচ্চারণ } শ্বাস প্রশ্বাস, নাড়ীর গতি, নেত্রোন্মেষ ৷ প্রভৃতি নিয়মিত নৈসর্গিক ঘটনা দৃষ্টে যে | কাল নির্ণয় হইত--অগ্রে তাহারই বর্ণন । করা যাউক । - শম্বোচ্চারণ-শব্বোচ্চারণ দ্বারা কিরূপে | খণ্ড কালের নির্ণয় হইত, তাহ দেখান যাইতেছে। কণ্ঠ দ্বারা বর্ণ ব্যক্ত করিতে যে স্বরের অবশ্যক হয়, সেই স্বরকে বিচ্ছিন্ন করিয়া তাহার প্রত্যেক সম হুঙ্কাংশ গুলিকে মাত্রা বলে ; ছন্দঃগাথার মতন তাহার ১২ বা ততোধিক একত্রিত করিয়া যে বিশেষ বিশেষ মাত্র জন্মে, তাহারই বিশেষ বিশেষ নাম হ্রস্থ, দীর্ঘ ও প্লুত। এই হ্রস্ব দীর্ঘ পুত কাল-ঘটিত নিয়ম হইতে সস্তৃত।