পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘনাদবধ কাব্য । (ভারতী শ্রা ১২৮৪ | বাসনা আমার নাই করিতে হরণ তোমার সে যশঃপ্রভা পুত্র যশোধর । ত্রিলোকে হোয়েছ ধন্য, আরো ধন্য হও দৈত্যকুল উজ্জ্বলিয়া, দানবতিলক । তবে যে রত্রের চিত্তে সমরের সাধ অদ্যাপি প্রজ্বল এত, হেতু সে তাহার যশোলিপসা নহে, পুত্র, অন্য সে লালসা নারি ব্যক্ত করিবারে বাক্যে বিন্যাসিয়া। অনন্ত তরঙ্গময় সাগর-গর্জন, বেলাগর্ভে দাড়াইলে, যথা সুখকর ; গভীর শর্বরী যোগে গাঢ় ঘনঘটা বিদ্যুতে বিদীর্ণ হয়, দেখিলে যে স্থখ ; কিম্বা সে গঙ্গোত্রীপাশ্বে একাকী দাড়ায়ে নিরখি যখন অম্বু রাশি ঘোর নাদে পড়িছে পৰ্ব্বতশৃঙ্গ স্রোতে বিলুঠিয়া, ধরাধর ধরাতল করিয়া কম্পিত ! তখন অস্তরে যথা, শরীর পুলকি, ছুর্জয় উৎসাহে হয় মুখ বিমিশ্রিত ; | সমরতরঙ্গে পশি, খেলি যদি সদা, সেই সুখ চিত্তে মম হয়রে উত্থিত ॥ ইহার মধ্যে ভয়, ভাবনা কিছুই নাই, বীরোচিত তেজ। মেঘনাদবধ কাব্যে অনেক গুলি " প্রভঞ্জন ” “ কলম্বকুল ? প্রভৃতি দীর্ঘপ্রস্থ কথায় সজ্জিত ছত্র সমূহ পাঠ করিয়া তোমার মন ভার' { গ্রস্ত হইয়া যাইবে, কিন্তু এমন ভাব| প্রধান বীরোচিত বাক্য অপই খুঁজিয়া পাইবে । অনেক পাঠকের স্বভাব আছে

Η απ তাহার চরিত্র চিত্রে কি অভাব কি ! তার হৃদয় দেখেন না, কবিতার শরীর | দেখেন। র্তাহার রাবণের ক্রমদন অশ্রু আকর্যণ করিলেই তৃপ্ত হন,কিন্তু রাবণের ক্রমদন করা উচিত কি না তাহ দেখিতে চান না. এই জন্যই সঙ্গদেশময় মেঘনাদবধের এত সুখ্যাতি । আমরা দেখিতেছি কোন কোন পাঠক ভাবিয়া ভাবিয়া মাথা ঘুরাই বেন যে, সমালোচক রাবণকে কেন তাহার | কাদিবার অধিকার হইতে বঞ্চিত করিতে চাহেন ? এক জন চিত্রকর একটি কালীর মূৰ্ত্তি অঙ্কিত করিয়াছিল, আমি সেই মূৰ্ত্তিটি দেখিয়াছিলাম ; পাঠকের জানেন, পুরাণে কালীর কিরূপ ভীষণ চিত্রই অঙ্কিত আছে, অমাবস্যার অন্ধকার নিশীথে যাহার পূজা হয়, আলুলত কুন্তলে বিকট হাসে যিনি শ্মশান ভূমিতে নৃত্য করেন, নরমুণ্ডমালা যাহার ভূষণ, ডাকিনী যোগিনীগণ যাহার । সঙ্গিনী, এমন কালীর চিত্র অ কিয়া চিত্রকর তাহাকে আপাদ মস্তক স্বর্ণালঙ্কারে বিভূষিত করিয়াছে, অনেক কৃতবিদ্য ব্যক্তি এই চিত্রটির বড়ই প্রশংসা করিয়া ছিলেন, যাহারা সংহরিশক্তিরূপিণী কালিকার স্বর্ণভূষণে কোন দোষ দেখিতে পান না তাচার। রাবণের ক্রমদনে কি দে!ষ আছে ভবিয়া পাইবেন না, কিন্তু সৌভাগোর বিষয় এই যে, তাহদের জন্য । এই সমালোচনা লিখিত হইতেছে না। | মূল কথা এই, বঙ্গদেশে এখন এমনি স্বটিছাড়া শিক্ষাপ্রণালী প্রচলিত হইয়াছে { যে, তাহাতে শিক্ষিতের বিজ্ঞান দর্শনের । কতকগুলি বুলি এবং ইতিহাসের শাল }