পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

... ، • ! - - - SLSLAAA SASS SSSSSSMSSSMSSSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS বক্ষ সহিত্য । (ভারতী অ ১২৮৫ | অপেক্ষা কবিতার প্রকৃতি বিশদরূপে বুঝা| ইয়া দিয়াছেন। মিল বলেন যে “আমাদের | হৃদয়ের ভাবগুলি যে সকল চিন্তা ও বাক্যের | অকারে আপনা আপনি প্রকাশ হয় তা| হার নামই কবিতা” এবং রবার্টুসন বলেন যে “উচ্ছসিত হৃদয় ভাবের ভাষার নামই কবিতা”—এইরূপ আরও অনেক আলঙ্কারিকদের মত উদ্ধত করা যাইতে পারে, কিন্তু তাহাদের লক্ষণের বিশেষ দোষ এই যে ঐ বাক্য বা ভাষাতে পাঠকের বা শ্রোতার মনে অন্ধুরূপ ভাবের উদ্রেক হইল কি ন। সে বিষয়ে তাহদের ক্রক্ষেপ নাই । যে কেহ যে কোন অবস্থায় পড়িয়া কাদিলেই যে তাহ শুনিয়া কোন শ্রোতার মনে করুণ রসের আবির্ভাব হুইবেই হইবে এমন কোন নিশ্চয় নাই। আমরা দেখিয়াছি যে অনেকে আপনাদের শোক প্রকাশ করিতে গিয়; এমন বাক্য প্রয়োগ করে ষে তাহাতে | চক্ষে জল না আসিয়া মুখে হাসি আইসে । বিশেষতঃ আদিরসের স্থলে অনেকে তাপরের মনে আদিরসের ভাব না আনিয়া বীভৎস রসের উদ্রেক করিয়া ধেয় । সুতরাং ভাবোচ্ছ সময় বাক্য হইলেই যে অন্যের হৃদয়ে সেই ভাবের তরঙ্গ উঠিবেই উঠিবে তাহ বলা যুক্তিসিদ্ধ নহে। কিন্তু সেইরূপ তরঙ্গ উঠাইতে না পারিলে ভাবে| স্থাসময় বাক্য মাত্রকেই কেহ কবিতা বলিতে স্বীকার করবে না । বাল্মীকিকে অমর কবি বলি কেন ? মা তাহার ভাবে আমরা উত্তেজিত হইয়া রামের প্রতি আমী । ক্ষের যেমন শ্রদ্ধাভক্তি হয়, রাধণের প্রক্তিও আবার তেমনি অশ্রদ্ধা উপস্থিত হয়। মিলটনকে আমরা কবি বলি কেন ? না তাহার নরক প্রদেশ সম্মুখে বিস্তারিত দেখিয়া আমরা ভীত হই, আবার তাহার ইদেনউদ্যানের বর্ণনা পড়িয়া আমরা তেমনি উল্লসিত হই । বোধ হয় এ কথা বলাই বাহুল্য যে পাঠকের হৃদয়তন্ত্র যদি কবির স্বয়য়ের সঙ্গে তালে তালে না নিনাদিত হয় তাহা হইলে কবির কবিত্বই আকাশকুসুম বৎ অলীক। এই যে লেখকের ও পাঠকের মধ্যে মমতা-ভাবট, ইহা সাহিত্যদর্পণকারের ‘রস’ শব্দেই নিহিত আছে । দ্রাক্ষফলকে আমরা মিস্ট বলিয়া থাকি, কেন না আস্বাদন করিয়া দেখিয়ছি যে উহা মিন্ট , উহা যদি মিন্ট না লাগিয়া কটু লাগিত তাহ হইলে দ্রাক্ষাফলকে আমরা কটুই বলিতাম। সত্যবটে যে দেশভেদে কালভেদে রুচিভেদ হয়, এমন কি, শারীরিক অবস্থা-ভেদেও রুচির বৈষম্য ঘটে। ইংল- | ণ্ডের এমন এক সময় গিয়াছে যে সময়ে চিরশিশু শেলীর নামে সকলে কর্ণে হাত দিত—মিল্টনের প্যারাডাইজ লস্ট, পুস্তকলয়ের নিভৃত প্রদেশে ধূলি ধূসরিত থাকিত--- এমন কি, জ্বলন্ত স্বর্ঘ্যের ন্যায় মহাকবি সেকসপিয়ারও পিউরিটানদের হস্তে কিছু কালের জন্য রাহুগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু এখন আর সে কাল নাই, প্রকৃতিস্থ ইংলণ্ড এখন মিলটনের নামে লোমাঞ্চ-কলেবর হয়, অভাগী শেলীর নামে এখন অশ্রুৰিসজন করে! এখন জিজ্ঞাস্য হইতে পারে যে যদি দেশভেদে কালভেদে এরুপ রস