পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بسیب میبیسیم: ভারতী মা ১২৮৪) তত্ত্বজ্ঞান কতদূর প্রামাণিক ।

\!) q > আপনি এই দুই বিরোধী পক্ষকে পরস্পর হইতে পৃথক করিয়া দেখিলে এই রূপ দাড়ায় যে, ইহাও যে বস্তু উহাও সেই বস্তু--তবে কি না প্রকারাস্তরে । প্রকারাত্তর কাহাকে ৰলে তাহার একটি. উদাহরণ দিই ;–ভাবের স্থায়িত্বও যা’, অভাবের, অস্থায়িত্বও তা ; বিস্তু তভা বের অস্থায়িত্ব ক্রিয়াসাপেক্ষ–চেষ্টা করিয়া অভাব মোচন করিতে হয়, ভাবের স্থায়িত্ব আপনা-আপনি আছে, দুয়ের মধ্যে এইরূপ প্রকার-ভেদ দৃষ্ট হইতেছে। ভাবের ; প্রভাব দ্বার অভাবের যে অভাব, তাহাকে বলে আবির্ভাব ; অর্থাৎ পূৰ্ব্বে ছিল না, ভাব-প্রভাবে এখন হইল, এরূপ যাহ। কিছু দৃষ্ট হয়, সকলই আবির্ভাব। ভাবও যা’, আবির্ভাবও জ্ঞানের প্রতি প্রণিধান করিয়৷ দেখিলে, জ্ঞাতৃপক্ষে জ্ঞানের ভাব, এবং জ্ঞাতপক্ষে জ্ঞানের আবির্ভাব উপলব্ধি করিতে পারা যায় । পরিপূর্ণ বিশুদ্ধ জ্ঞানের জ্ঞাতৃপক্ষই পর মাত্মা, জ্ঞাত পক্ষই আত্মানাত্ম-ময় জগং । জ্ঞাতৃজ্ঞেয় এ দুই বিরোধী পক্ষের মধ্যে যে বস্তুতঃ কোন বিরোধ নাই, জীবাত্মাই তাহার প্রমাণ-স্থল। জ্ঞেয়-পক্ষের মধ্য হইতে জ্ঞাতু-পক্ষ উদ্ভাসিত হইয়-সেই জেয়পক্ষের সহিত নহে কিন্তু—মূল জাতৃপক্ষের সহিত আপনার মিল সপ্রমাণ করিতেছে ; শস্য উৎপন্ন হইয়া, বৃক্ষের সহিত নহে, কিন্তু বীজের সহিত আপনার মিল SAHHA HAAASAAAA --------م ......م. তাই,-প্রকারাস্তরে । , সপ্রমাণ করিতেছে। জীবাত্মা, পরমাত্মার | প্রভাব যাহা প্রচ্ছন্ন রছিয়াছে, তাহ বিরোধীপক্ষ নহে, পরন্তু বিরোধী পক্ষের (জড়ত্বের) বিরোধী পক্ষ –জীবাত্মা, বিরো ধের ভঞ্জন-স্বরূপ। একদিকে মূল-জ্ঞাতৃপক্ষের অপরিবর্তনীয় স্বপ্রকাশ ভাব ; অদ্যদিকে, জ্ঞেয়পক্ষের মধ্যে (জগতের মধ্যে) জ্ঞাতৃপক্ষের ক্রমশঃপ্রকাশ্য অনন্ত পরিণাম কি না চেতন ভাবের উত্তরোত্তর অনন্ত পরিস্ফুটন ; দুয়ের মধ্যে বস্তুতঃ কোন ভেদ নাই,--ভেদ যাহা, তাহ প্রকার-ভেদ মাত্র। মূলে যে পূর্ণ প্রভাব বিদ্যমান আছে, জগতে অনন্ত ক{ল অভ}বের অভাব হইলে, তাহাই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হইবে, নূতন কিছুই হইবে না। জ্ঞাতৃ পক্ষের, একদিকে, পূর্ণপ্রভাব ; জ্ঞেয় পক্ষের, অন্যদিকে, অভাবের ক্রমশই অভাব; এ দুয়ের মধ্যে বর্তমানে—প্রতি বৰ্ত্তমান ক্ষণে —আকাশ-পাতাল প্রভেদ, কিন্তু অনন্ত ভবিষ্যৎ কাল ধরিতে গেলে কিছুই প্রভেদ নাই। জ্ঞেয়পক্ষে আপাততঃ জ্ঞাতৃপক্ষের বিরোধ ;–কিন্তু সে বিরোধের ক্রমশই ভঞ্জন হইতেছে-ক্রমশই জ্ঞেয় পক্ষের মধ্যে জ্ঞান সংক্রমিত হইয়া তাহাকে জ্ঞাতৃপক্ষের প্রতিচ্ছবি করিয়া তুলিতেছে ; नूंशत्र डव। ( জ্ঞাতৃভাব ) যাহা জগতের (জ্ঞেয়ভাবের ) অভ্যুত্তরে প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে, ক্রমশই তাহা উত্তরোত্তর অভিব্যক্ত হইতেছে-ইন্স দেখিলে জ্ঞাতৃজ্ঞেয় ভাবের । পরস্পর বিরোধকে আর বিরোধ বলিয়াই মনে হয় না । o - জ্ঞেয়পক্ষের মধ্যে জ্ঞাতৃপক্ষের পূর্ণ