পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ക്ഷൗ-ജ്ജ-ൗ ab" বঙ্গ সাহিত্য। বিশেষ যুক্তি দ্বারা সপ্রমাণ না হইলে কে তাহা শিরোধাৰ্য্য করিবে ? এখন আমরা গ্রন্থকারের কবিতার লক্ষণগত দ্বিতীয় দোষটি প্রদর্শন করিব —সকলেই বোধ হয় বঙ্কিম বাবুর কৃত করুণ! রস-প্রধান “বিষবৃক্ষ” নামক উপন্যাস পাঠ করিয়াছেন। ইহা পাঠ করিতে করিতে মনে অনেকগুলি ভাবের উদ্রেক হয়, এবং করুণরসে পাঠকের - হৃদয় পর্য্যন্ত যেন দ্রব হইয় অশ্রুরূপে প্রবাহিত হইতে থাকে। কাদম্বরীতে যখন মহাশ্বেতা নিস্তব্ধ নিশীথে পরিচারিক মাত্র সহায় করিয়া অভিসারিকাবেশে পুণ্ডরীকের নিকট যাইতেছিলেন তখন বন্ধু-বিয়োগ-বিধুর কপিঞ্জলের করুণ বিলাপ হৃদয়ের প্রত্যেক তন্তুতে প্রবিষ্ট হয় এবং মন একেবারে উদাস হুইয়া যায় । কিন্তু রমেশ বাবুর মতে বিষবৃক্ষ ও কাদম্বরী এই দুই খানি গ্রন্থ কাব্য নহে, কেন না ইহা ছন্দোবন্ধে নিবদ্ধ নয় । ছন্দোবন্ধে নিবদ্ধ হইলেই এই দুইটি উৎকৃষ্ট কাব্য হইত। আমরা আরো এক পদ অগ্রসর হইব,—প্রাত্যহিক সাপ্তাহিক মাসিক অনেক প্রকার সংবাদ-পত্রে আমরা প্রায়ই মৰ্ম্মভেদী হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পাঠ করিয়া থাকি। অনেকগুলি পড়িতে পড়িতে, আমাদের মনে অনেক প্রকার প্রতিম! বা ভাব-পরম্পর জগন্ধক হইয় উঠে, এবং আমাদের হৃদয়েও কোমলতর রস | উচ্ছসিত হয়। সেই সংবাদ গুলি কবিতা নহে, কিন্তু সে গুলি যদি গদ্যরূপে আলু , লায়িত না থাকিয়া পয়ারে বা ত্রিপদীতে গ্রথিত থাকিত, তাহ হইলে গ্রন্থকারের মতে সেই সংবাদ গুলিও কবিতা নামের যোগ্য হইত এবং সংবাদ-লেখকেরাও কবির প্রতিপত্তি লাভ কুরিত ! গ্রন্থকার কবিতার যে লক্ষণ নির্দেশ করি য়াছেন তাহার দুইটি মাত্র অঙ্গ । আমরা দেখিলাম সেই দুইটা অঙ্গই ভ্ৰমাত্মক । আমাদের বোধ হয় গ্রন্থকার কোন কোন ইংরাজ আলঙ্কারিকের প্রলাপ বাক্যে বিমুগ্ধ হইয়া ঘোর প্রমাদে পড়িয়াছেন । তাহাদের কূটতর্কের চাকচিক্যে ও প্ৰগল্‌ভতার আড়ম্বরে প্রতারিত না হইয়া, যদি সহজ জ্ঞানের উপর নির্ভর করিয়া কবিতার লক্ষণ নির্দেশ করা যায়, তাহা হইলে কেহ আর হেজ্বলিটের মতন কবিতার শত সহস্ৰ লক্ষণ নির্দেশ করিবে ন}, কিম্ব ইষ্ট ঘাট, মিলের মতন কবিতার ংজ্ঞা-নিরূপণ অসস্তব বলিয়া হতাশ হুইবে না । - সাহিত্যদর্পণ-কার বলিয়াছেন যে রসাসুক বাক্যই কাব্য। কিন্তু ইষ্টয়ার্টুমিল কবিতার এরূপ য়ুক্তিসঙ্গত লক্ষণ গ্রহণ করিবেন না । তিনি বলিবেন যে, তাহা (ভারতী শ্রা ১২৮৪ হইলে বক্তার বক্তৃতা ও কবির কবিতা । একই পদার্থ সাহিত্য-দৰ্পণকার উত্তর করিবেন যে যদি বক্তার বক্তৃত রসাজুক হয় তাহ হইলে সেই বক্তৃতাও কাব্য। মিল প্রত্যুত্তর করিবেন যে বক্তৃতাতে আর কবিতাতে এমন একটা হৃদয় গত মর্শগত প্রভেদ আছে যে, সাহিত্য