পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ૭ ভিখারিণী | يمين o তাগ করিয়া চলিল, গ্রামের শেষ প্রান্তের শৈলশিখরোপরি উঠিয়া একবার ফিরিয়া f চাহিল, দেখিল, শৈলগ্রাম জ্যোৎস্নালোকে { ঘুমাইতেছে, চঞ্চল নির্ঝরিণী নাচিতেছে, ঘুমন্ত গ্রামের সকল কোলাহল স্তৰ মাৰে { মাঝে দুই একটি রাখালের গানের অস্ফুট } স্বর গ্রামশৈলের শিখরে গিয়া মিশিতেছে! অমর দেখিল, কমলদেবীর লতাপাতাবেষ্টিত ক্ষুদ্র কুটারটি অস্ফুট জ্যোৎস্নায় ঘুমাইতেছে, ভাবিল ঐ কুটারে হয়ত এত ক্ষণে শূন্য হৃদয়া মৰ্ম্ম-পীড়িত বালিকাটি i উপধানে ক্ষুদ্র মুখখানি লুকাইয়া নিদ্রাশুন্য নেত্রে আমার জন্য কাদিতেছে। অপরের নেত্র অশ্রুতে পূরিয়া গেল। অজিতসিংহ কহিলেন “রাজপুতবালক ! যুদ্ধযাত্রার সময় কাদিতেছিস্!” অমর অশ্রু মুছিয়া ফেলিল । শীতকাল। দিব অবসান হইয়া অt! সিতেছে, গাঢ় অন্ধকারময় মেঘরাশি উপত্যক, শৈলশিখর, কুটার, বন, নিৰ্ব্বর, হ্রদ, শস্যক্ষেত্র একেবারে গ্রাস করিয়া ফেলি| য়াছে, অবিশ্রাস্ত বরফ পড়িতেছে, তরল তুষারে সমস্ত শৈল আচ্ছন্ন হইয়াছে, পত্র }হান শীর্ণ রক্ষ সকল শ্বেত মস্তকে স্তন্তিত ভাবে দণ্ডায়মান; দারুণ তীব্র শীতে হিমালয় গিরিও যেন অবসয় হইয়া গিয়াছে, এই শীত-সন্ধ্যার বিষ অন্ধকারের মধ্য দিয়া, গাঢ় বাষ্পময় স্তঙ্কিত মেঘরাশি ভেদ # করিয়া একটি মান মুখঞ্জ ছিন্নবসন

- পথে পথে ভ্রমণ করিতেছে, তুষারে পদ দরিদ্র বালিকা অশ্রুময় নেত্ৰে শৈলের । }তল প্রস্তরের ন্যায় অসাড় হইয়া গিয়াছে, শীতে সমস্ত শরীর কাপিতেছে, মুখ নীল । বর্ণ, পাশ্ব দিয়া দুই একটি নীরব পান্থ । চলিয়। যাইতেছে, হতভাগিনী কমল । করুণ নত্রে এক এক বার তাছাদের মুখের দিকে চাহিতেছে, কি বলিতে গিয়া বলিতেছে না, আবার অশ্রু-সলিলে অঞ্চল সিক্ত । করিয়া তুষার-স্তরে পদচিন্তু অঙ্কিত করি । তেছে। কুটীয়ে রুগ্ন মাতা অনাহারে শয্যাগত, সমস্ত দিন বালিকা এক-মুষ্টিও আহার করিতে পায় নাই, প্রাতঃকাল হইতে সন্ধ্যা পর্য্যন্ত পথে পথে ভ্রমণ করিতেছে, সাহস করিয়া ভীতিবিহ্বল বালা কাহারো কাছে ভিক্ষ চাহিতে পারে নাই, বালিকা । কখন ভিক্ষা করে নাই, কি করিয়া ভিক্ষ । করিতে হয় জানে না, কাহাকে কি বলিতে হয় জানে না ; আলুলত কুন্তল রাশির মধ্যে সেই ক্ষুদ্র করুণ মুখ-খানি দেখিলে, দারুণ শীতে কম্পমান তাহার সেই ক্ষুদ্র । দেহু-খানি দেখিলে পাষাণও বিগলিত হইত। ক্রমে অন্ধকার ঘনীভূত হইল, নিরাশ বালিকা ভগ্ন হৃদয়ে শূন্য অঞ্চলে কুটীরে ফিরিয়া যাইতেছে ; কিন্তু অসাড় পা আর উঠে না, অনাহারে দুর্বল, পথশ্রমে ক্লাস্ত, নিরাশায় ম্রিয়মাণ, শীতে অবসন্ন বালিকা আর চলিতে পারে না, অবশ হইয় পথ-প্রান্তে তুষার-শয্যায় শুইয়া পড়িল, শরীর ক্রমে আরো অবসন্ত্র হইতে লাগিল, বালিকা বুঝিল ক্রমে সে অবসন্ন হইয়া তুষারে চাপা পড়িয়া মরিবে, মাকে স্মরণ করিয়া কাদিয়া উঠিল, যোড় হুস্তে কহিল “মা ভগবতি, আমাকে মারিয়া (ভারতী শ্রা •રન્ટ o