সম্পাদকের বৈঠক । השמש (ভীরতী শ্রঃ ১২৮৪ চলিয়া গেলেন; এইত রামকান্ত মহাব্যাকুল; I তিনি স্থির করিলেন যে তার স্ত্রী বুঝি কাদিতে কাদিতে চলিয়া গেলেন, স্থির করিলেন তবে রামজয়ের মৃত্যু হইয়াছে, এইত বুক চাপড়াইয়া চুল ছিড়িয়া"রামজয় হা রামজয়” করিয়া মহা কান্না কাটি জাপা দাপি আরম্ভ করিলেন, তাহার ভগিনী,মাতা, প্রতিবাসীগণ কিছুই বুঝিতে না পারিয়া পুত্ৰশোক কিছুতেই থামিবার নহে, আত্মহত্যার মানসে ছুটিয়া বাড়ির পুষ্করিণীতে | গিয়া ঝাপাইয়া পড়িলেন, পাড়ার লোকেরা { সকলে মিলিয়া অচেতমাবস্থায় তাছাকে জল হইতে তুলিল। অনেক কন্টে তাহার }চেতনা সম্পাদিত হইল। তখন তিনি শুনি লেন তাহার পুত্র সস্তানের নাম গন্ধও नाझे । } সে দিন কানভোকেশনে লার্ড লিটনের বক্তৃতা শুনিয় এইরূপ অনেক রামকান্তের চটক ভাঙ্গিয়াছে। তাহার ইতিপূর্বে মছা | রাণীর ঘোষণা-পত্ৰ শুনিয়া অবধি ইরাজ | দিগের সৃছিত সমান অধিকার পাইয়াছি মনে করিয়া দিব্য আরামে নাসারন্ধে তৈল দিতেছিলেন। ".. দেবতার মানত –এক জনের একটি গোরু হারাইয়া যায়, কোন মতে খুজিয় ন পাইয়া কালীঘাটে গিয়া o স্থলি क्लिब * किडू क्षिप्नद्र *ब्र গোরু H*लिग्न आहेग_लिख. সান্তন দিতে লাগিলেন, কিন্তু রামকাস্তের কালীকে কহিল “ম, যদি গোরু খুজিয়া, }পাই তুৰে তোমার পূজায় একটা মছিব তখন মহিষ বলির পরিত্যাগ কর ম৷ ” , | কথা সমস্ত ভুলিয়া গিয়াছে। কিন্তু কালীর পাওনা, তিনি ভুলিবেন কেন ? তাহার সংসারে অনটম পড়িতেই তিনি আসিয়া কহিলেন, “কই আমার মহিষ দিলি না ?” মানুষ কহিল “ম আমার হাতে এখন টাকা নাই, মহিষ দিতে পারিব না, তবে যদি ভেড়া পাইলে সম্ভস্ট হও তবে দিই ।” কালী তাঁহাতেই সন্মত হইলেন, কিন্তু তাহাও পাইলেন না। দেবী আসিয়া কহিলেন “কই ভেড়া দিলি না ?” সে কহিল “ম! আমি গরিব মানুষ, ভেড়া কোথায় পাইব ? বলেন তো একটা ছাগলের চেষ্টা দেখা যায়।” তিনি তাহাতেই সন্মত হইলেন, তাহাও পাইলেন না, জিজ্ঞাসা করতে সে কহিল, “ছাগল ত পাইলাম না, তবে একটি হাস দিতে পারি” মা তাহাতেই সন্মত, { তাহাও দিল না, সে কহিল “হাস নাই মা ! ফড়িঙ্গ চাওত দিই” কালী তাহাতেও রাজী হইলেন । তখন সে যোড়হস্তে কছিল “দোহাই মা, যদি মোষ থেকে ফড়িঙ্গে এসে নামৃতে পার তবে নিজেই বাদায় গিয়ে ধরে { নিয়ে এস না,আমাকে কেন কষ্ট দেওয়া ?” ইংরাজগণ এইরূপ বঙ্গদে ধীর কাছে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অর্ঘ মানিয় ছিলেন, কিন্তু দেবী যখন রোড়শেদ, পব্লিকওয়ার্ক শেস্, ইরিগেষন শেস প্রভৃতি সকলই ঘাড় পাতিয়া লইলেন, তখন ইংরাজের তাহাকেও এইরূপ বলিতে পারেন যে, “যা, } যদি তুমি এতদূর ত্যাগস্বীকার করিতে পায়, } তবে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের আশাটিও কেন্ন |
