পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_அன সম্পাদকের বৈঠ _ ভারতী শ্রা ১২৮৪) i পরিবর্তে ব্যবহার করে : তাহারা বলে নে পশমের জিনিস পরিষ্কারের পক্ষে সাধা রণ সাবান অপেক্ষ ইহা অনেক উৎকৃষ্ট। কারণ যেমন ইহা দ্বারা পশমের মল পরি | ক্ষত হয়, সেই রূপ ইহার স্বাভাবিক চাকচিক্যও সংরক্ষিত হয় । কৃষ্ণ-গোলাপ –এক জন কালি করিনিবাসী অনেক পরীক্ষার পর মসিবৎ কৃষ্ণবর্ণ গোলাপ উৎপাদনে সমর্থ হইয়াছেন। তিনি নিম্নলিখিত প্রণালীটী অবলম্বন করিয়াছিলেন । তিনি একটা ঘোর রক্ত বৰ্ণ গোলাপের চার কলম করিয়া ওক গাছের সহিত যুড়িয়া দিয়াছিলেন। ক্রমে উহ! পরিবর্জিত ও পুষ্পিত হইল। ওক গাছের ঈষৎ কৃষ্ণবর্ণ রস গোলাপে সঞ্চারিত হইয় তাহাকে ঘোর কৃষ্ণবর্ণে পরিণত করিল । ইহাতে আর কিছু উপকার না হউক, আমাদের দেশে একটা উপকার হইল। ইংরাজী কবিদ্বিগের অমুচিকীর্ষ বঙ্গীয় কবিগণ গোলাপের সহিত শ্যামাঙ্গিনী মহিলাদিগের কপোলের তুলনা করিতে না পারিয়া মাথা খুড়িতেছিলেন। এবার তাছাদের মনস্কামনা পূর্ণ হুইল । এবার ; তাছার উপমাস্থলে অনায়াসে বলিতে পারবেন যে— । 勝 1. আহি কিবা মুখ খানি কুচুকুচে কালো । কালীপী গোলাপটা করি আছে আলো । রামকাস্তের সন্তান লাভ।– অনেক বয়স পর্য্যস্ত রামকাস্তের সন্তানাদি # হয় নাই। সস্তান লাভের জন্য কাৰ্ত্তিকের - -> * - থায় "তাহার পত্নী ত অবাক,দুই তিন বার - • অনেক আরাধনা করিয়াছেন । এমন গাছ ছিল না যাহার শিকড় তাহার পত্নীকে খাওয়ান নাই এবং পাড়ায় এমন লোক । ছিল না যাহার পরামর্শ মতে কাজ করেন | নাই। স্থত বিক্রয় করিয়া বৈদ্য বড় মানুষ । হইয়া গেল এবং স্বস্ত্যয়ন করিয়া দৈবজ্ঞ | প্রশস্ত দালান নিৰ্ম্মাণ করিয়া লইল । এক বার কোন কৰ্ম্মোপলক্ষে রামকাস্তকে বিদেশে যাইতে হইল ; সেখানে এক দিন । রাত্রে সাপ স্বপ্নে দেখিতে পাইলেন। সাপ স্বপ্নে দেখিলে সস্তান হয়, ব্রাহ্মণ নিদ্রাভঙ্গে মহা দাপদাপি করিতে আরম্ভ করি- ; লেন। এত দিনে তাহার কার্ভিকের আরাধনা সফল হইল মনে করিলেন। ক্রমে এক মাস । দুই মাস তিন মাস করিয়া দশ মাস হইয়া ; গেল; আজ তাহার পুত্র ভূমিষ্ঠ হইয়াছে ; তাহার স্থির বিশ্বাস হইল, ক্রমে তাহার | পুত্রের অন্নপ্রাশন; বাড়িতে বলিয়া আসি ; য়াছেন, কাৰ্ত্তিকের প্রসাদে যদি তাহার পুত্রসস্তান হয় তবে তাছার নাম রাখিও । রামজয় । “আমার রামজয় চিরজীবি হোয়ে | থাকৃ” বোলে তাহার গহনা পত্রের ফর্দ করিতে বসিলেন । -. ছয় বৎসরের পরে রামকান্ত দেশে ৷ ফিরিয়; অসিলেন । অন্তঃপুরে গিয়া দেখি- } লেন তাহার পত্নী,শ্বাশুড়ি প্রভূতি গুরু জন দের মধ্যে বসিয়া আছেন । উৰ্দ্ধশ্বাসে গিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “আমার রামজয় কো জিজ্ঞাদিত হুইলে আর হাস্য সম্বরণ করিতে পারলেন না, গুরুজনদের সম্মুখে হাসিতে{