পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8 . ভারতে অলিকসন্দর অনুসারে সমস্ত নিৰ্বাহ হইত। প্রায়ই পিতার বন্ধু বা প্রতিবেশীর পুত্রের সহিত বিবাহ কাৰ্য্য সম্পন্ন হইত—এথেন্সবাসী ব্যতীত কোন বিদেশীকে তাহারা প্রায় কন্য। সম্প্রদান করিত না। বাড়ির ভিতরেই স্ত্রীলোকের অবস্থান করিত । ধৰ্ম্মকার্য্য ব্যতীত তাহার ঘরের বাহিরে যাইত না, বা আত্মীয় ব্যতীত কেহ বাড়ির ভিতর যাইতে পারিত না । সেকালের কি স্পাটান, কি এথেনিয়ন সকলে সম্ভব অনুসারে ব্রহ্মচর্য্য প্রতিপালন করিত । ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে ইহার প্রতিকুল প্রমাণ পাওয়া গেলেও জনসাধারণ সংযতচিত্ত ছিল । এই জন্য তাহার বীর্য্যসম্পন্ন বলবান ও দৃঢ়ব্ৰত হইয়াছিল। সে কালের গ্রীসবাসীকে পিতৃ মাতৃ ভক্ত হইতে বিশেষরূপে শিক্ষিত করা হইত। পিতৃদ্রোহী পুত্র সমাজে যেরূপ নিন্দিত হইত, সেইরূপ স্বদেশের শাসন অধিকার হইতেও সে বঞ্চিত হইত। বিচার কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইবার পূৰ্ব্বে নিৰ্ব্বাচিত ব্যক্তিকে, পিতা মাতার প্রতি অসদ্ব্যবহার করেন নাই, তাহাকে এরূপ প্রমাণ প্রদান করিতে হইত। যদি কোন ব্যক্তি পিতামাতাকে গ্রাসাচ্ছাদন না করিত, তাহা হইলে সে সাধারণে বক্তৃতা করিবার অধিকার প্রাপ্ত হইত না। এই সকল সদগুণসম্পন্ন ছিল বলিয়া গ্রীস সেকালে সবিশেষ শক্তিশালী হইয়াছিল -জগৎমধ্যে অভূতপূৰ্ব্ব প্রতিষ্ঠা সংস্থাপন করিতে সমর্থ হইয়াছিল। এই গ্রীস যখন বিলাসপরায়ণ হইয়া অকৰ্ম্মণ্য হইয়াছিল—ব্রহ্মচৰ্য্য বিমুখ হইয়া হীনবীৰ্য্য হইয়াছিল, তখন তাহাদিগকে এই দারুণ পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ পরাধীনত শৃঙ্খলে আবদ্ধ হইতে হইয়াছিলদুর্ভিক্ষে বিশেষরূপে জর্জরিত হইতে হইয়াছিল কি না, জানি না,