কেহ বলেন তিনি ভরদ্বাজ গোত্রজ ছিলেন। তিনি যে কোন বর্ণ বা গোত্রকে উজ্জ্বল করুন না কেন, তিনি ভারতবাসীর সাধারণ সম্পত্তি, তাঁহার উপর সকলেরই সমান অধিকার একথা বলাই বাহুল্য।
এই মহাযুদ্ধে যে সকল গ্ৰীক নিহত হইয়াছিল; মহাবীর অলিকসন্দর, মহা সমারোহের সহিত তাহদের সমাহিত করেন। গ্ৰীক দেবদেবীর উদ্দেশে, এ স্থানে নানাপ্রকার যজ্ঞাদির অনুষ্ঠান করিয়া কএক দিন উৎসবে অতিবাহিত করেন ।
তৃতীয় অধ্যায়
অধ্যবসায়ের অবতার মহাভাগ অলিকসন্দর জন্মভূমি হইতে শত শত ক্রোশ দূরে, নানাপ্রকার প্রতিকূল ঘটনার মধ্যবর্ত্তী হইয়াও, প্রচণ্ডবীৰ্য্য শক্রগণকে পরাজয় করিয়া জয়যুক্ত হইলেন। যে পুরুষে, নীতি, উৎসাহ, অধ্যবসায়, প্রাণপাত করিয়াও কার্য্য সাধনের জন্য উদ্যোগ, প্রভৃতি পুরুষজনোচিৎ গুণ সকল বৰ্ত্তমান থাকে, তিনি যে অবস্থাতে থাকুন না কেন, সেই অবস্থাতেই আপনার অদৃষ্টের সহিত দেশের ভাগ্যচক্রও পরিবর্ত্তন করিয়া থাকেন। অলিকসন্দর, এই সকল সদ্গুণের আধার হওয়াতে মরণে কৃত নিশ্চয় ভারতীয়গণকেও পরাজয় করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন।
ভারতে আগমনের পূৰ্ব্বে, অলিকসন্দর, স্ত্রীধৰ্ম্মা পুরুষগণের নিকট, ভারতের ধনরত্ন প্রচুর পরিমাণে, অরক্ষিত অবস্থায় পতিত রহিয়াছে, ক্লেশ করিয়া তথায় গমন করিলেই তাহা হস্তগত হয়,