Հ8Ե ভারতে অলিকসন্দর বিক্রয় করিয়া প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেন না ;—সুসভ্য অলিকসন্দরের এই সদয় ব্যবহার, সেকালের ভারতবাসীর কাছে কিরূপ ভাবে গৃহীত হইয়াছিল, তাহা তাহদের অসংখ্য সংখ্যায় মৃত্যুতে স্পষ্টরূপে প্রকাশ পাইয়া থাকে। কুৰ্ত্তিয়স আর একটি জাতির যুদ্ধের কথা কীৰ্ত্তন করিয়াছেন, তাহাদের নাম তিনি উল্লেখ করেন নাই। র্তাহণদের জিহবায় সে নাম উচ্চারণ করিতে কষ্ট হইয়াছিল বলিয়া কি তাহার তাহার উল্লেখ করেন নাই, তাহা আমরা অবগত নহি । কিন্তু র্তাহারা মাসিদনপতির সহিত, কুপিত কৃতাস্তের ন্যায় যুদ্ধ করিয়াছিল, যুদ্ধকালে তাহারা প্রাণের প্রতি মমতা কিছুমাত্র দেখান নাই, তাহা আমরা অবগত আছি । সেই সকল সুগৃহীতনাম যোদ্ধাগণ জন্মভূমি রক্ষা করিবার জন্য, ভৈরব বিক্রমে অলিকসন্দরের গতিরোধ করিয়াছিলেন । বহুসংখ্যক মাসিদনকে, তাহাদের ক্ৰোধবহ্নিতে ভগ্নীভূত হইতে হইয়াছিল। অলিকসন্দর ঘোরতর পরাক্রমে নগর আক্রমণ করিলেও, সহজে ইহা হস্তগত করিতে সমর্থ নাই । নগরবাসীরা যখন দেখিলেন, নগর রক্ষা করা সম্পূর্ণ অসম্ভব, তখনৰ্তাহারা নিজের নিজের গৃহে অগ্নি প্রদান করিয়া স্ত্রী পুত্র কন্যাগণের সহিত সেই পবিত্র হব্যবাহনে , শরীর আহুতি প্রদান করিয়া প্রায় বিংশতি সহস্র ভারতবাসী সুরলোকে গমন করেন * ।
- গ্ৰীক গ্রন্থকারেরা, শিবিৰাগীরা, তাহদের হরিকুলেশের বংশধর বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন । সম্ভবতঃ ইহার। আমাদের হরিকুলেশের বংশধর যাদবগণ হইবেন। পুরাকালে এ সকংi ভূমি যাদবগণে অধুষিত ছিল। বর্তমানকালেও ইহা নিকটবৰ্ত্তী প্রদেশে বহুসংখ্যক যাদব অবস্থান করিয়া
