২৯২ ভারতে অলিকসন্দর শয়ন-শয্যা প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ করাইয়া প্রবঞ্চনা করিয়াছিলেন, সেইরূপ বোধ হয় সমুদ্র তটে পেয় জল প্রাপ্তির জন্য কূপ খনন প্রভূতি মিথ্যাকথা লিপিবদ্ধ করাইয়। অসাধারণ ত্বকে লাভ করিয়াছিলেন । অলিকসন্দর, বিতস্তার তটে, তাহার বিজয়ক্ষেত্রে যে নগর স্থাপন করিয়াছিলেন, সেইস্থান হইতে পটলে আসিতে, এরিষ্ট্রোবুলস বলেন, দশমাস সময় অতিবাহিত হইয়াছিল। যদি কোন বাধা প্রাপ্ত না হওয়া যায়, তাহা হইলে এই পথ ১৫২০ দিনের মধ্যে অবলীলাক্রমে অতিক্রম করা যাইতে পারে । এই ১৫, ২০ দিনের রাস্ত অতিক্রম করিতে, অলি কসন্দরের ন্যায় মহাবীরকে সুদীর্ঘ দশমাস অতিবাহিত করিতে হইয়াছিল । এই দশমাসের মধ্যে র্তাহাদিগের দুর্দশ সীমা অতিক্রম করিয়া বৃদ্ধি পাইয়া ছিল। এই দশমসে ভারতবাসী, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈষ্ঠ ও শূদ্রের ভুজবলের দারুণ প্রভাব তাহার ভালরূপেই অবগত হইয়াছিলেন। এই দশমাস ক্লেশ ভোগের পর, কোনরূপ সুফল প্রস্থত হইয়াছিল কিনা, তাহা আমরা অবগত নহি, কিন্তু তাহাদিগের লুষ্ঠিত ধনের ভাণ্ডার, নিঃশেষ প্রায় হইয়াছিল, তাহ আমর। সুবিদিত আছি। অলিকসন্দর কীৰ্ত্তিক মাসে বিতস্ত তট পরিত্যাগ করিয়া শ্রাবণ মাসে পটলে উপস্থিত হইয়াছিলেন। সিন্ধু প্রদেশের দুঃসহ উত্তাপ, ভারতবাসীর মৰ্ম্মভেদী তীক্ষশর অপেক্ষাও যে, তাহা দিগকে প্রপীড়িত করিয়াছিল সে বিষয় সন্দেহ নাই । অলিকসন্দর পটল প্রদেশে প্রায় ২০ মাসকাল অবস্থান করিয়া আশ্বিনের শেষভাগে পুনরায় গমন করিতে আরম্ভ করিয়|ছিলেন। বায়ু অকুকুল না থাকাতে নিয়ার্কস জলপথে যাত্র
