পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৬ ভারতে অলিকসন্দর পৰ্য্যন্ত কোন সেনানী দেখাইতে সমর্থ হয় নাই । তিনি অতি বাল্যকাল হইতে লঘুপাক, খুব সাদা-সিদে শাক-সবজি খাইয়া, ও কেবল জলমাত্র পান করিয়া ক্ষুৎ-পিপাসা দূর করিতেন। র্তাহার সহিত যে সকল পারসিক সৈন্য অবস্থান করিত, তাহারাও এইরূপ লঘুপাক শাক-সবজি ভোজন করিয়া যুদ্ধস্থলে অদ্ভূত কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়াছিল। পারসীকদের সেই সুদিনে, গ্ৰীক হিরোডোটস বলেন,তাহারা বিস বৎসর পর্য্যন্ত অন্য সকল শিক্ষা অপেক্ষা, অশ্বে আরোহণ— অস্ত্ৰধারণ এবং সত্যভাষণ, এই তিনটি বিষয়ে, যাহাতে বালক পটুতা লাভ করে, সে বিষয় পারলীকেরা বিশেষরূপে দৃষ্টি প্রদান করিতেন। সেই উন্নতিরকালে পারসীকের দিবাতে একবারমাত্র ভোজন করিয়া, রাত্রিতে কিছু জলযোগ করিয়া শরীর ধারণ করিতেন । তারপর যখন পারসীকের বিলাসী হইল, তাহদের গুরুপাক তোজনের মাত্র। যখন বৃদ্ধি পাইল, তখন তাহারা ধীরে ধীরে পৃথিবী হইতে অন্তহিত হইয়া গেল । গ্রীস যখন বাহুবলে প্রাধান্ত লাভ করেন, সে সময় তাহারা দুইবার মাত্র ভোজন করিতেন, দ্বিপ্রহরে একবার, রাত্রিকালে একবার। র্তাহাদের খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে শাক সবজিই বেশী থাকিত, ইহাতে তৈল ব্যবহার করিতেন । মাছ মাংস বেশী ব্যবহার করিতেন না । সুপ্রসিদ্ধ রোমকগণ, তাহাদিগের অভু্যদয়েরকালে, নিরামিষ ভোজী ছিলেন। তারপর তাহাদিগের ধনবৃদ্ধির সহিত, তাহদিগের আমিষ ভোজন বৃদ্ধি পাইয়াছিল। . রোমক পণ্ডিত সেনাক বলেন, ফ্লেজিনোৎসব তাহারা সুচারুরূপে সম্পন্ন করিতে