পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমিত্বের প্রসার । |లిపి দল বড় কম যোটে নাই। এই সকল কারণে অলিকসন্দরের আমিত্বের প্রসার ও অদ্ভুতভাবে বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। আমিত্বের প্রসারের সহিত র্তাহার পারস্যজয়ের বাসনা হৃদয়ে বদ্ধ মূল হয়, পারস্যপতিকে জয় করিয়া তাহার ভারত জয়ের আশা অঙ্কুরিত হয়। এইরূপে র্তাহার আমিত্বের সম্প্রসারণ হইয়াছিল । অলিকসন্দর কুড়ি বৎসর বয়ক্রমের সময় পৈত্রিক সিংহাসনে উপবেশন করেন । তিনি তাহার স্বভাবসিদ্ধ হৃদয়গ্রাহী বাগীতায় এসিয়া বিজয়ের জন্য বদ্ধপরিকর সৈন্যমণ্ডলী ও উপস্থিত সন্ত্রাস্ত জনগণকে তাহার পক্ষপাতী করেন। সকলে বুঝিল মাসিদন রাজ্যে কেবল নামেই রাজ পরিবর্তণ হইয়াছে, কোনরূপ নীতির পরিবর্তণ হয় নাই—চ্যারোনিয়া বিজয়ী সৈষ্ঠের মধ্যে কেবল মাত্র একজন লোকের অভাব হইয়াছে, সে অভাব তাহ অপেক্ষ যোগ্যতর ব্যক্তি দ্বারা পরিপুরিত হইয়াছে, সুতরাং ফিলিপের অভাবজনিত উদ্বেগ কাহাকেও অবসাদ গ্রস্ত করিতে সমর্থ হয় নাই । অলিকসন্দর, নিরুপদ্রবে সিংহাসন অধিকার করিলেন বটে, কিন্তু তাহার রাজ্যের চতুঃপাশ্বে ঘোরতর অশাস্তির চিন্তু সকল লক্ষিত হইতে লাগিল । ফিলিপ যে সকল অসভ্যজাতি পরাজয় করিয়াছিলেন, তাহার। আলিকসন্দরের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিল। থেবপ্রমুখ গ্ৰীসবাসীরা ও ফিলিপের সন্ধি বন্ধন ছিন্ন করিয়ু স্বতন্ত্রতা অবলম্বন করিবার উদ্যাগ করিতে লাগিল। এই সঙ্কট সময়ে অনেকে অলিকসন্দরকে মৃদুতা অবলম্বন করিতে পরামর্শ প্রদান করেন। র্তাহারা, পাৰ্ব্বত্য অসভ্যবাসীকে মিষ্ট’ কথায় তুষ্ট, এবং পরাধীনতায় অনভ্যস্ত গ্রীক-বাসীর প্রতি দণ্ড