পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল পশ্চাতে দৃষ্টি ক্ষেপণ করিলেন। চারি চক্ষুর মিলনে অনেক অব্যক্ত কথা আত্মপ্ৰকাশ করিল। দুইটি তরুণ-তরুণীর হৃদয়ে প্ৰণয়-বীজ অঙ্কুরিত হইল এবং পরিণামে তাহা পরিণয়ে পৰ্য্যবসিত হইল । যখন মালোয়ার সম্রাটু এই প্ৰণয়-কাহিনী শুনিলেন, তিনি হিলিওডোরাসকে অবমানিত করিয়া রাজপ্ৰাসাদ ও রাজধানী হইতে বিতাড়িত করিয়া দিলেন। সে কালে দূত অবধ্য ছিল। মৰ্ম্মাহত হিলিওডোরাস যখন তাহার প্রণয়িনীর নিকট বিদায় গ্ৰহণ করেন তখন রাজকুমারী আশ্বাস দিলেন, “আমি তোমার বাগদত্তা রমণী, আমাদের বিচ্ছেদ নাই ; হিন্দু-ললনা বাগদত্ত হইলে অন্য কাহাকেও এ জীবনে গ্ৰহণ করে না। তুমি একান্তমনে আমাদের কুলদেবতা বাসুদেবের ভজনা করিতে পারিলে আমায় লাভ করিতে পরিবে ।” গ্ৰীক-রাজপুত্ৰ ভঁাহার হিন্দু প্ৰণয়িনীর কথায় বিশ্বাস করিয়া বাসুদেবের পূজাৰ্চনায় মন ও প্ৰাণ সমর্পণ করিলেন। র্তাহার একাগ্ৰ সাধনা ও নিষ্ঠ দেখিয়া মালোয়াবাসী বিস্মিত হইল এবং ক্রমে রাজার কঠিন হৃদয়ও দ্রবীভূত হইল। অন্যদিকে রাজকুমারী প্ৰেমাস্পদের লাঞ্ছনায় ও বিরহে মৰ্ম্মাহত হইয়া দিন দিন ক্ষীণ হইতে লাগিলেন। তিনি উৎকট ব্যাধিতে আক্রান্ত হইলেন। মহারাণী কন্যার অবস্থা দেখিয়া বিচলিত হইলেন, তাহার মাতৃস্নেহ কোন বাধা মানিল না ; সন্তানের প্রাণ-রক্ষার জন্য তিনি মহারাজকে, যবন গ্রীককে কন্যা প্ৰদান করিতে অনুরোধ করিলেন। রাজা ও মন্ত্রিমণ্ডলী হিলিওডোরাসের হিন্দুদেব-গ্ৰীতি ও নিষ্ঠার সহিত অৰ্চনা দেখিয়া কন্যাপ্ৰদান করিতে সম্মত فby\