পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল ধ্বংসাবশেষ রহিয়াছে মাত্র ; কিন্তু সঁচীর ভূপ কয়টি অটুট ও ংস্কার অবস্থায় রহিয়াছে। সেই জন্যই সঁচীর স্তুপের অভিনব গঠন এবং তোরণ ও বেষ্টনীর বিশিষ্ট পরিকল্পনা বিশ্বের সুধী- ও শিল্পী-সমাজে পরম আদৃত। সঁচীর ভূপগুলি মুসলমান ও বৌদ্ধ-দ্বেষীদের গোড়ামীর ফলে ধ্বংসপ্ৰাপ্ত হয় নাই। তাই সঁচীর স্তৃপ দেখিলে মনে হয় শিল্পীর মােহন অঙ্গুলী-স্পর্শে অতীত ভারতের সেই মহামানব ও তাহার অমিয়া-মাখা বাণী যেন আমাদের কাছে মূৰ্ত্ত হইয়া উঠিয়াছে—আমরা রবীন্দ্রনাথের ভাষায় অতীতের গাঢ় অন্ধকার ভেদ করিয়া ভগবান বুদ্ধের শ্ৰীমুখের বাণী শুনি— “দুঃখিতের অন্নদান সেবা তোমরা লইবে বল কেবা ৷” আবার বৌদ্ধকীৰ্ত্তির অনাদর দেখিয়া ব্যথিত হই— “ব্যথিত নগর ”পরে বুদ্ধের করুণ আঁখি দুটি সন্ধ্যাতারা সম রহে ফুটি” ফা হিয়ান ও হিউয়েন সাং-এর ভ্ৰমণ-বৃত্তান্ত হইতেই আমরা প্রধানতঃ বৌদ্ধ স্থাপত্যের ও শিল্পেশ্বৰ্য্যের পরিচয় পাইয়া থাকি, কিন্তু তঁহাদের রচনায় সঁচার স্তুপের কোন সন্ধান পাওয়া যায় না। কেবল “মহাবংশ”-গ্রন্থে সঁচার স্তুপের সর্বপ্ৰাচীন পরিচয় অবগত হইতে পারি। অশোক যখন তঁাহার পিতা মৌৰ্য-সম্রাটু বিন্দুসার-কর্তৃক উজ্জয়িনী-প্রদেশের শাসনকৰ্ত্তা নিযুক্ত হইয়া উজ্জয়িনীতে গমন করিয়াছিলেন, সে সময়ে ԳN9