পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধ-গয়া এখনও সেই নালন্দায় প্ৰায় দুই মাইল ব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়-গৃহ, ছাত্ৰাবাস, গ্ৰন্থাগার, বিহার প্রভৃতি বিশাল সৌধের নিদর্শন দেখিতে পাওয়া যায়। বুদ্ধদেবের নির্বাণ-লাভের পর তাহার নশ্বর দেহের অংশ৷ মগধরাজ অজাতশত্রু সংগ্রহ করেন এবং এই রাজগিরিতে সংরক্ষিত করিয়াছিলেন। সেইজন্য রাজগিরি বৌদ্ধদের আটটি পবিত্ৰ স্থানের অন্যতম। জৈনদের তীর্থঙ্কর মহাবীর বুদ্ধদেবের সমসাময়িক মহাপুরুষ। তাহার সাধনা ও সমাধির স্থান এই রাজগিরির নিকটবৰ্ত্তী পাবাপুরী। রাজগিরির সন্নিকটে ( নয় মাইল পূর্ব-দক্ষিণে) পাবাপুৱীতে বিশাল পদ্মপুষ্প-শোভিত হ্রদের মধ্যস্থলে প্ৰস্ফুটিত শ্বেতপদ্মের ন্যায় মহাবীরের মৰ্ম্মীর-প্ৰস্তার-নিৰ্ম্মিত স্মৃতি-সৌধ বিরাজমান। প্ৰতি বৎসর সহস্ৰ সহস্ৰ জৈন নরনারী কাৰ্ত্তিক মাসের পূর্ণিমার উৎসবের দিন। এখানে সমবেত হয়। রাজগিরি ও পাবাপুৱীতে দশ সহস্ৰ যাত্রী থাকিবার উপযোগী কয়েকটি ধৰ্ম্মশালা আছে। রাজগিরি জৈনদের পরম প্ৰিয় স্থান । মহাভারতের যুগ হইতে মগধের রাজধানী এই রাজগিরিতে বা গিরিব্রজে ছিল। মহাভারত-বৰ্ণিত প্ৰসিদ্ধ-প্ৰতাপশালী মগধের রাজা জরাসন্ধের রাজধানী এই রাজগৃহে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহার চিহ্ন এখনও জরাসন্ধের বৈঠক ও মল্লভূমি নামে পরিচিত এবং তাহ হিন্দুদের পরম পুণ্য স্থান। ফাগুসান সাহেব “জরাসন্ধ-কা-বৈঠক” অশোকের পূর্বকালের প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত সৌধাবলির একমাত্ৰ নিদর্শন এরূপ ধারণা করিয়া বলিয়াছেন The only stone building yet found in India that SA ऊब्रम्शद्भ वर्टक 13-1804 B.