পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল শাখা-প্ৰশাখা বিস্তার করিয়া তরুবর বিশ্বে প্ৰাদুভূত হইল। তখন অনুতপ্ত অশোক পরম শ্রদ্ধার সহিত বৃক্ষটির সংরক্ষণের ব্যবস্থা করিলেন। প্রস্তরের বেড়ার দ্বারা তাহার চারিদিক বেষ্টন করিয়া দিলেন। সেই বেষ্টনীর অংশ এখনও বুদ্ধগয়াতে আছে, সেইগুলি ভারতে রেলিং বা প্ৰাকার-স্থাপত্যে সর্ব-প্ৰাচীন নিদর্শন। তৎপরবর্তী গুপ্তযুগের সুন্দর সূক্ষম কারুকাৰ্য্যমণ্ডিত রেলিংগুলিও দেখিবার বস্তু । এই বোধিদ্রুম হইতে একটি শাখা ছেদন করিয়া সম্রাটু অশোক যখন তাহার কন্যা সঙ্ঘমিত্তার হস্তে সিংহলে লইয়া যাইবার জন্য প্ৰদান করেন, সেই অনুষ্ঠানের করুণ কাহিনীর বর্ণনা সকরুণ ও সুললিত ভাষায় মহাবংশ-গ্রস্তে লিপিবদ্ধ আছে। সেই বৃক্ষশাখা অনুরাধাপুরের বিরাট বিহারে রোপিত হওয়ামাত্ৰই নানা শাখা-প্ৰশাখায় গজাইয়া উঠে, তদৃষ্টে সিংহলের রাজ-পরিবারের সকলে এবং সিংহলবাসিগণ সঙ্ঘমিত্তার ও তাহার স্রোতা মহেন্দ্রের নিকট বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন। গয়ার ন্যায় সিংহলে অনুরাধাপুরে এখনও সেই বৃক্ষ অমর হইয়া বুদ্ধের মহিমা ঘোষিত করিতেছে। বোধিদ্রুমের সন্নিকটেই গয়ায় মহন্তের বিদ্যাভবন আছে, তাহার গাত্রে যে শিলালিপি আছে তাহার পাঠ—“আমাদের প্রভু ভগবান বুদ্ধ যে স্থানে তপঃক্লিষ্ট দেহে দুগ্ধ ও মধু পান করিয়াছিলেন সেই পবিত্ৰক্ষেত্রেই সম্রাট অশোক এই বিহার frrífe <f3f(a !” (I.S.R.M., v < ). প্ৰধান মন্দির হইতে কয়েক পদ অগ্রসর হইলেই ক্ষুদ্রায়তনের অতি প্ৰাচীন একটি মন্দির দেখা যায় তাহার ভিতর বুদ্ধদেবের মূৰ্ত্তি স্থাপিত। এরূপ সৌম্য মূৰ্ত্তি গয়াতে আর নাই। মন্দিরের \) Obr