পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইলোর স্থানে ত্রিতল বারাণ্ড পর্বতের অভ্যন্তরে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, ইহাই কৈলাস-মন্দিরের গুহার অপূর্ব কৌশল। এই স্থানের স্তম্ভশ্রেণী ও প্রাচীর অত্যুচ্চ গিরিবপুল ধারণ করিয়া রহিয়াছে। প্রধান তোরণ হইতে অবতরণ করিয়া প্ৰাঙ্গণ-মধ্যে কয়েক পদ অগ্রসর হইলে সম্মুখে বিশাল কৈলাস শিবের মূল মন্দির। এই প্ৰকাণ্ড দেউলের তলদেশের আয়তন পূর্ব-পশ্চিমে ২৮৭ ফুট ও উত্তরक्रि.१ ७७० ফুট মহাবলিপুরমের পঞ্চ পাণ্ডবের “রথাগুলিও এক একটি পাহাড় কাটিয়া-চাটিয়া খোদাই করিয়া নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এগুলি শিল্পজগতের অতুল সম্পদ।। কৈলাস-মন্দিরটি একটি পাহাড়ের বপুর ১০৬ ফুট গৰ্ত্ত কাটিয়া নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। চতুৰ্ভুজাকৃতি প্রাঙ্গণের মধ্যস্থলেই মন্দির। ইহার বিমান। ৯৬ ফুট উচ্চা; সম্মুখে একটি চতুষ্কোণ চাঁদনী --তাহার ছাদ ষোলটি স্তম্ভের উপর ন্যস্ত ; এখান হইতে আর একটি অসংলগ্ন চাদনী, যাহার নাম “নন্দী-মণ্ডপ”, তাহা একটি সেতু-দ্বারা সংযুক্ত। তাঁহারই সম্মুখে তোরণ, তাহাও নন্দী-মণ্ডপের সহিত সেতু-দ্বারা সংযুক্ত হইয়াছে। এই হৰ্ম্ম্যগুলি একই পাহাড় কাটিয়া নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ইহা ব্যতীত নন্দী-মণ্ডপের মধ্যে শিব-বাহন বৃষি বিরাজিত । মণ্ডপটির দুই পার্শ্বে ধ্বজস্তম্ভ। তাহারই দুই পার্শ্বে দুইটি প্ৰমাণ আকারের হস্তী। প্ৰাঙ্গণের চারিধারে স্তম্ভবেষ্টিত দালান, উপর ও পার্শ্ব পর্বত-দ্বারা আচ্ছাদিত, প্ৰদক্ষিণ-পথের ংযুক্ত মঠ ও কক্ষগুলি সমস্তই খাড়া উচ্চ পর্বতের কুক্ষিমধ্য হইতে ক্ষোদিত করিয়া গঠিত। ইহার উপর দ্বিতল বৃহৎ প্ৰকোষ্ঠ, একখানি পাহাড় হইতে মন্দির, চাদনী, নন্দী-মণ্ডপ, Σ Σ