পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইলোর তেমনই কমনীয়, ভগবৎ-প্ৰেমপূৰ্ণ স্নেহশীল ধ্যানী বুদ্ধের ন্যায় সৌম্য। দক্ষিণাত্যের ন্যায় এখানেও শিবের তাণ্ডবনৃত্য-ভঙ্গিমায় নটরাজ-মূৰ্ত্তি ক্ষোদিত রহিয়াছে। নৃত্য আনন্দের রূপ। তাই শিবের নৃত্যের নিদর্শন সর্বত্ৰ দেখিতে পাওয়া যায়, কেবল যে দক্ষিণ-ভারতেই আছে তাহা নহে। দ্বিতলের বারাণ্ডায় যে ফ্রেস্কোর অংশ দেখা যায় তাহাই ইলোরার প্রাচীর-চিত্রের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। ইহাতে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু এবং হস্তীর মূৰ্ত্তি অঙ্কিত রহিয়াছে। ইহা যেমন ভাবপ্ৰকাশক তেমনই রং-ফলােনর কৃতিত্বের পরিচায়ক । মন্দিরদ্বারের দুই পার্শ্বে দুইটি ভীমকায় দ্বারপালের ভৈরবমূৰ্ত্তি পাপীর চিত্তে ভীতি উৎপাদন করে। নাটমন্দিরটির ছাদ ১৬টি ২০ ফুট উচ্চ ৪ × ৪র্ব চতুষ্কোণ স্তম্ভের উপর ন্যস্ত ; ছাদটি ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, লক্ষনী, সরস্বতী, মহাদেব, নন্দী, পার্বতী প্ৰভৃতি শিব-পরিবারের মূৰ্ত্তিদ্বারা শোভিত । মধ্যে বিকশিত কমলদলের উপর। প্ৰকাণ্ড শিবলিঙ্গ স্থাপিত। দ্বিতলের উপর পাঞ্চ শিবমন্দির উচ্চচুড়া-সম্বলিত হইয়া ক্ষোদিত। মধ্যে মূল মন্দিরের সম্মুখে একতলায় নাটমন্দিরের উপর বৃষিমূৰ্ত্তি শয়ান অবস্থায় রহিয়াছে। তৎপরে তৃতীয়তলে চারিদিক উন্মুক্ত-সাধনার প্রকৃষ্ট স্থান। মনে হয় না যে, এই সব একই পর্বত হইতে কাটিয়াছাটিয়া প্ৰস্তুত হইয়াছে, ইহার কৌশল না দেখিলে উপলব্ধ হয় না, ইহার মহিমা স্বচক্ষে দর্শন না করিলে বুঝা যায় না। প্ৰাঙ্গণের উত্তরাংশের পশ্চিম কোণে এক দেবালয় পাহাড়ের অভ্যন্তর কাটিয়া নিৰ্ম্মিত রহিয়াছে। ইহা গঙ্গাবতরণ মণ্ডপ নামে খ্যাত। ইহার দুই পাৰ্থে বহির্দেশে প্ৰকাণ্ড SA 3-1304 B,