পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল লিখিয়াছেন—এই সব মিথুন- ও নগ্ন-মূৰ্ত্তি দেখিলে মনে কোন প্রকার কুরুচি বা কামভাবের উদ্রেক হয় না, বরং মধুরহাস্য-প্ৰদীপ্ত আনন্দ-হিল্লোল-মাতোয়ার দম্পতীর মুখভাব দেখিলে পরম-গ্ৰীতিলাভ হয়। মূৰ্ত্তিগুলি স্বৰ্গীয় ভাবের ও অপার সুষমার প্রতিরূপ বলিয়াই মনে হয়। শত শত মূৰ্ত্তি এমনই দক্ষতার সহিত নানা মনোহর ভঙ্গিমায় ক্ষোদিত হইয়াছে যে, শিল্পানুরাগী ব্যক্তিমাত্ৰই এই সদানন্দ মনোরম শিল্পীরাজ্যে বৎসরের পর বৎসর যাপন করিয়া মূৰ্ত্তিগুলির গঠন পরিদর্শন এবং ভাব উপলব্ধি করিবার লোভ সংবরণ করিতে পরিবেন না । 'The smiling and jubilant faces of men and women enjoying themselves, have a grace and innocence which seem to verge on spiritual symbolism. Men and wounen are represented in hundreds of poses, so graceful and loving, that a scholar would be tempted to pass years in the fascinating field of study.' (Cal. Rev., 1934.) মুকুরহস্তে এক রমণী-মূৰ্ত্তির চক্ষুর অপূর্ব ভঙ্গিমা ও কটাক্ষ দর্শকের চিত্তে নিৰ্ম্মল আনন্দ প্ৰদান করে। রমণী দর্পণে নিজের ঢল ঢল যৌবনের সুঠাম গঠন এবং কুচযুগল দেখিয়া নিজে মুগ্ধ হইয়া পড়িয়াছে। দক্ষিণদিকের আনত নয়নে তাহার সৌন্দৰ্য্যের গৌরব প্ৰকাশিত এবং বাম চক্ষুর রেখায় ও ভঙ্গিমায় সে দর্শককে তাহার মন-মাতান অপরূপ রূপ দেখিবার জন্য ইঙ্গিত করিতেছে। পাষাণের উপর যন্ত্রের আঁচড়ে শিল্পীর কি অপূর্ব মনােভাব-প্রকাশের শক্তি ফুটিয়া উঠিয়াছে! এই মূৰ্ত্তিগুলি দেখিতে দেখিতে সত্যই হৃদয় কোন 88