পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় ঐক্যসাধন সমস্যা
১১৩

দেওয়া হইত তাহা হইলে হয়ত তাহার বিকাশ হইতে পারিত, কিন্তু ইতিমধ্যে এক গুরুতর পরিবর্ত্তন ঘটে, তাহাতে অবিলম্বে একটা সমাধান করা একান্ত আবশ্যক হইয়া পড়ে। ভারতের ইতিহাস প্রসিদ্ধ দুর্ব্বলতা হইতেছে তাহার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তদ্বার-সকলের ভেদ্যতা, আধুনিক কাল পর্য্যন্ত এইরূপই ছিল। যতদিন প্রাচীন ভারত সিন্ধুনদকে অতিক্রম করিয়া বহুদূর পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল, এবং শক্তিশালী গান্ধার ও বহ্লিক রাজ্যদ্বয় বিদেশী আক্রমণের বিরুদ্ধে অজেয় দুর্গস্বরূপ দণ্ডায়মান ছিল, ততদিন ঐ দুর্ব্বলতার কোনও অস্তিত্ব ছিল না। কিন্তু সঙ্ঘবদ্ধ পারস্যসাম্রাজ্যের আক্রমণে তাহারা ভাঙ্গিয়া পড়ে, এবং তখন হইতে বরাবর সিন্ধুনদের পরপারে অবস্থিত দেশসকল আর ভারতের অন্তর্গত থাকে না, এবং সেই জন্যই তাহারা আর ভারতের রক্ষক স্বরূপ না হইয়া বরং ক্রমান্বয়ে প্রত্যেক আক্রমণকারীর নিরাপদে দাঁড়াইবার স্থানে পরিণত হয়। আলেকজান্দারের আক্রমণ ভারতের রাষ্ট্রনীতিক মনকে বিপদটির গুরুত্ব সম্বন্ধে বিশেষভাবে সজাগ করিয়া দিল, এবং সেই সময় হইতেই আমরা দেখিতে পাই, কবি, লেখক, রাষ্ট্রনীতিক চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ সাম্রাজ্যের আদর্শ সর্ব্বদা প্রচার করিয়াছেন, অথবা কি উপায়ে তাহাকে কার্য্যে পরিণত করা