পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৬
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

অনেকটা যন্ত্রবৎ কৃত্রিম হইয়া পড়ে এবং তাহাদের জীবনীশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত ও ক্ষুণ্ণ হইতে আরম্ভ করে। নাগরিক রিপাবলিকগুলিও ক্রমশঃ সংহত রাজ্য বা সাম্রাজ্যের কেবল মিউনিসিপালিটিতে পরিণত হয়। সাম্রাজিক কেন্দ্রীকরণ এবং পূর্ব্বকালীন উচ্চতর স্বাধীন জাতীয় সভাগুলি দুর্ব্বল ও লুপ্ত হওয়ার ফলে যে মনোভাব ও সংস্কারের উদ্ভব হয়, তাহাতে একটা আধ্যাত্মিক ব্যবধানের মত সৃষ্টি হইল,—এদিকে প্রজাবর্গ যে-কোন গবর্ণমেণ্ট তাহাদের নিরাপদতার ব্যবস্থা করিত এবং তাহাদের ধর্ম্ম, জীবন, আচার ব্যবহারের উপর অত্যধিক হস্তক্ষেপ না করিত তাহাতেই সন্তুষ্ট হইয়া থাকিতে লাগিল, আর অন্যদিকে রহিল সাম্রাজিক শাসন, তাহা হিতকারী ও গৌরবান্বিত ছিল সন্দেহ নাই, কিন্তু ভারতের প্রাচীন ও সত্য রাষ্ট্রনীতিক মণীষা স্বাধীন ও প্রাণময় জাতি সকলের মস্তকস্বরূপ যে-জীবন্ত অনুষ্ঠানের কল্পনা করিয়াছিল তাহার আর অস্তিত্ব রহিল না। এই সকল পরিণাম সুস্পষ্ট হয় এবং চরমে উঠে অবনতির সঙ্গে সঙ্গে, কিন্তু বীজরূপে তাহারা সকল সময়েই বর্ত্তমান ছিল, এবং ঐক্যসাধনের জন্য যান্ত্রিক প্রণালী অবলম্বন করায় সেগুলি একরকম অবশ্যম্ভাবীই হইয়া পড়িয়াছিল। সুবিধার মধ্যে হইয়াছিল অধিকতর শক্তিমান ও ও সংহত সামরিক উদ্যোগ, এবং অধিকতর নিয়মিত ও সমভাবাপন্ন শাসনক্রিয়া, কিন্তু