পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

হইতে রক্ষা পাইয়া আবার নূতন জীবন আরম্ভ করিতে পারে। কারণ, প্রত্যেক জাতির মধ্যেই একটি মূলভাব ও আদর্শ ক্রিয়া করিতেছে, জাতির দেহের ন্যায় সেটি সহজে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় না; এই আদর্শ যদি যথেষ্ট শক্তিশালী, উদার ও প্রেরণাময় হয় এবং লোকের মনে ও প্রকৃতিতে যদি তেজ থাকে, প্রাণ থাকে, নমনীয়তা থাকে, যাহার দ্বারা রক্ষণশীলতার সহিত সর্ব্বদা বিকাশ ও বৃদ্ধির সামঞ্জস্য করিতে পারে, জাতীয় আদর্শকে নূতন অবস্থার মধ্যে নূতনভাবে জীবন্ত করিয়া তুলিতে পারে, তাহা হইলে সে জাতি চরম ধ্বংসে পৌঁছিবার পূর্ব্বে বহুবার পতন অভ্যুত্থানের ভিতর দিয়া যাইতে পারে; তাহা ছাড়া ঐ যে জাতীয় ভাব ও আদর্শ, উহা জাতির সমষ্টিগত সত্তারই আত্মপ্রকাশের ধারা; আবার প্রত্যেক সমষ্টিগত আত্মা এক মহত্তর নিত্য সনাতন আত্মার অভিব্যক্তি ও প্রকাশের কেন্দ্র, সেই সনাতন আত্মা যুগে যুগে নিজেকে প্রকাশ করিতেছে এবং মানবজাতির পতন ও অভ্যুদয়ের ভিতর দিয়া মানব-সমাজের মধ্যে নিজেকে পূর্ণভাবে প্রকট করিতে চাহিতেছে। অতএব যে-জাতি কেবল বাহিরের স্থূল জীবনের মধ্যেই বাস করে না, এমন কি, যে-মূল জাতীয় ভাব তাহার বিকাশকে নিয়ন্ত্রিত করে এবং জাতিকে বিশিষ্ট মনস্তত্ত্ব, বিশিষ্ট প্রকৃতি প্রদান করে, কেবল সেই