পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

করা এবং ভারতীয় মূল নীতিটির প্রয়োগ কিছু পরিবর্ত্তিত ও অপেক্ষাকৃত জটিল করার সমস্যা বাধ্য হইয়াই উঠিয়াছিল। আর্য্যজাতির সকল শাখারই প্রথমতঃ যে কৃষি ও পশুপালনের জীবন ছিল, তাহাই বরাবর প্রশস্ত ভিত্তিস্বরূপ রহিল, কিন্তু এই ভিত্তির উপরে ক্রমশঃ বেশী বেশী সমৃদ্ধ বাণিজ্য, শিল্প ও অন্যান্য অসংখ্য বৃত্তির একটা ঊর্দ্ধস্তর গড়িয়া উঠিল। সামরিক, রাষ্ট্রনীতিক, ধার্ম্মিক ও শিক্ষাদীক্ষাবিষয়ক বৃত্তিগুলি লইয়া একটা অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ঊর্দ্ধস্তর গড়িয়া উঠিল। বরাবর পল্লী-সমাজই রহিল স্থায়ী মূল অনুষ্ঠান, সমাজ-শরীরের জমাট ও অবিধ্বংসী পরমাণু, কিন্তু দশ দশটি ও শত শতটি গ্রাম লইয়া এক রকমের সমষ্টিজীবন গড়িয়া উঠিল। এইরূপ প্রত্যেক সমষ্টির রহিল এক জন করিয়া মাথা, এবং প্রত্যেকের জন্য প্রয়োজন হইল নিজস্ব শাসনতন্ত্র; আবার যেমন যুদ্ধজয় বা অন্যের সহিত মিশ্রণের দ্বারা কুল ও বংশগুলি বৃহদাকার জাতিতে পরিণত হইতে লাগিল, তেমনই ঐ সমষ্টিগুলিকে লইয়া এক একটা রাজতন্ত্র বা সম্মিলিত গণতন্ত্র গড়িয়া উঠিল, আবার এই রাজ্য বা গণতন্ত্রগুলিকে মণ্ডলস্বরূপে গ্রহণ করিয়া বৃহত্তর রাজ্য গঠিত হইল এবং শেষ পর্য্যন্ত এই ভাবেই এক বা একাধিক মহাসাম্রাজ্য গড়িয়া উঠিল। এই যে ক্রমবর্দ্ধমান বিকাশ এবং অবস্থান্তরের আবির্ভাব, ইহার সহিত সামঞ্জস্য