পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ভারত-প্ৰতিভা "לא גי আত্মপরিচয়-গোপনকালে স্বামীজী কখনও “বিবিদিষানন্দ”, কখনও বা “সচ্চিদানন্দ” প্ৰভৃতি নামধারণ করিতেন। গোবৰ্দ্ধনগিরিতে পরিভ্রমণকালে স্বামীজী মনে মনে করিয়াছিলেন, তিনি কোনওমতেই কাহারও নিকট কিছু ভিক্ষা করিবেন না ; বস্তুতঃ সমস্ত দিন পৰ্য্যটনে অত্যন্ত ক্ষুধিত হইলেও তিনি কাহারও নিকট ভিক্ষা চাহিলেন না । রাধারমণের মূৰ্ত্তি স্মরণ করিতে করিতে তিনি মন্থরপদে পথ অতিবাহন করিতে লাগিলেন । সহসা তিনি শুনিলেন, কে যেন পশ্চাৎ হইতে তঁহাকে ডাকিতেছে। কিয়ৎকাল পরে পশ্চাৎস্থিত লোকটি নানাবিধ খাদ্যসামগ্ৰী সহ তাহার নিকট আসিয়া অত্যন্ত অনুনয় সহকারে আহাৰ্য্য-দ্রব্যাদি গ্ৰহণ করিতে অনুরোধ করিল। স্বামীজী ভগবানের অপার করুণা-নিদর্শন দেখিয়া মুগ্ধ হইলেন। রাধাকুণ্ডে যখন স্বামীজী আসিলেন, তাহার সম্বল তখন একমাত্র কৌপীন। তিনি উহা ধৌত করিয়া রৌদ্রে শুকাইতে দিলে ক্ষণকাল পরে একটা বানর আসিয়া উহা লইয়া বৃক্ষে আরোহণ করিল। স্বামীজী অনেক চেষ্টা করিয়াও বানরের নিকট হইতে উহা ফিরাইয়া পাইলেন না। অভিমানপূর্ণ হৃদয়ে তখন তিনি অরণ্য প্রবেশ করিলেন। সঙ্কল্প, তিনি আর লোকালয়ে ফিরিবেন না। তঁহার মনে হইল, ভগবান না। চাহিলে তঁহাকে কৌপীন-বাস দেন কি না, আজ তাহ পরীক্ষা করিবেন। বিস্ময়ের বিষয়, অরণ্যাভিমুখে অগ্রসর হইবামাত্র কে তঁহাকে ডাকিতে লাগিল। স্বামীজী সে দিকে কৰ্ণপাত না করিয়া দৌড়াইতে আরম্ভ করিলেন। সে ব্যক্তিও রুদ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া আসিয়া তাহাকে সমাদরে নিজগৃহে লইয়া গিয়া আহাৰ্য্যাদি। দিল এবং একখানি নূতন গৈরিক বস্ত্ৰ গ্ৰহণ করিতে অনুরোধ করিল। ভগবানের আশ্চৰ্য্য করুণার