পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । 38t তিনি মহারাজ বাহাদুরকে এই শক্তিশালী সাধুর কথা জানাইলেন। মহারাজ স্বয়ং দেওয়ানজীর বাড়ী আসিয়া স্বামীজীকে প্ৰণতি পুরঃসর কাছে বসাইলেন । মহারাজ তাহাকে পরীক্ষার জন্য নানাপ্রকার প্রশ্ন করিয়াছিলেন ; কিন্তু নিৰ্ভীক, স্পষ্টভাষী বিবেকানন্দ সহজ ও সরলভাবে তঁহার প্রশ্নের উত্তরদানে তঁহার মতিগতির পরিবাৰ্ত্তন-সাধন করেন। মূৰ্ত্তিপূজার আলোয়ার মহারাজের আদৌ শ্ৰদ্ধা ছিল না ; কিন্তু স্বামীজীর অপূৰ্ব্ব নিদর্শন ও যুক্তির প্রভাবে মহারাজ প্রকৃতই বহুলাংশে পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছিলেন । এই সময়ে অন্যান্য বহুব্যক্তি স্বামীজীর সংস্পর্শে আসিয়া জীবনের গতি ভিন্নপথে পরিচালিত করেন । আলোয়ার-রাণী এবং তািত্ৰত্য কয়েকজন বিশ্বাসী ও পবিত্ৰচেতা । যুবক স্বামীজীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন। স্বামীজীর উপদেশানুসারে তঁহারা সংস্কৃত ভাষা শিখিতে লাগিলেন। স্বামীজী নিজেও অনেক সময় তঁহাদিগকে শিক্ষা দিতেন। দুই মাসকাল আলোয়ারে অবস্থান করিবার পর স্বামীজীৱ প্ৰাণ আবার অন্যত্ৰ গমনের জন্য ব্যাকুল হইয়া ऐछैिन । আলোয়ার ত্যাগ করিয়া স্বামীজী পাণ্ডুপোল হইয়া জয়পুরে গমন করেন। বান্দিকুই ষ্টেশনে জনৈক ভক্ত স্বামীজীর প্রতীক্ষায় ছিলেন। জয়পুরে পৌছবার পরই স্বামীজীর একখানি ফটােগ্রাফ লাইবার জন্য সেই ভক্তটি সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধ করিতে লাগিলেন। স্বামীজী তাহাতে বাধা । দিতে পারিলেন না। সেই চিত্রেই পরিব্রাজকের ভাবটুকু চমৎকার প্ৰকাশ পাইয়াছিল। জয়পুরে অবস্থানকালে স্বামীজী একজন বিখ্যাত বৈয়াকরণের নিকট পাণিনির অষ্টাধ্যায়টি দুই সপ্তাহের মধ্যে আয়ত্ত করেন। যে পণ্ডিত তঁহকে,