পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sðè ভারত-প্ৰতিভা শিখাইতে গিয়াছিলেন, তিনিই শেষ স্বামীজীকৃত পাণিনির ভাষ্য ও ব্যাখ্যা শুনিয়া চমৎকৃত হইয়াছিলেন । জয়পুর হইতে আজমীর হইয়া স্বামীজী আৰু পৰ্ব্বতের বিচিত্ৰ সৌন্দৰ্য্য দর্শন করিবার জন্য গমন করেন। কোটারাজ্যের ভূতপূৰ্ব মন্ত্রী ঠাকুর ফেচ সিংহের ভবনে অবস্থানকালে খেতভীর রাজার সেক্রেটারী মুন্সী জগমোহনলাল স্বামীজীকে দর্শন করিতে আসেন। তিনি স্বামীজীর সহিত আলাপে মুগ্ধ হইয়া তাহাকে সমভিব্যাহারে লইয়া খেতভীর রাজার কাছে লইয়া যান। খেতড়ীর রাজা ধৰ্ম্মপ্রাণ অজিতসিংহ তাহার অসাধারণ গুণগ্রামে মুগ্ধ হইয়া মুন্সীজী জগমোহনলালের সহিত স্বামীজীর শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করেন। গুরুভক্ত শিষ্যের সাগ্ৰহ অনুরোধে উপেক্ষা করিতে না পারিয়া স্বামীজী কিছুদিন খেতাড়ীতে অবস্থান করেন। তন্ত্ৰত্য প্ৰসিদ্ধ পণ্ডিত নারায়ণদাসের নিকট তিনি পাণিনির মহাভাষ্য শিক্ষা করেন। পণ্ডিতজী স্বামীজীর প্রতিভা-দর্শনে চমৎকৃত হইয়া বলিয়াছিলেন, এরূপ প্ৰতিভা মানবে সম্ভবে, সে ধারণা পূর্বে তাহার ছিল না। অপুত্ৰক খেতভীর রাজা স্বামীজীর নিকট বারংবার পুত্রবর প্রার্থনা করেন। শিষ্যের অনুরোধে স্বামীজী শেষে বলিয়াছিলেন, “শ্ৰীশ্ৰীঠাকুরের কৃপায় আপনার মনোরথ সিদ্ধ হইবে।” অতঃপর স্বামীজী পদব্রজে গুর্জরের মরুপ্রদেশ অতিক্রম করিয়া আহন্ধদাবাদ, লিম্বাড়ী, জুনাগড়, ভুজ, ভেরাবাল, প্ৰভাস ও সোমনাথ দৰ্শন করিয়া পোরবন্দরে গমন করেন । লিম্বাড়ীতে তিনি একদল ৷ ধৰ্ম্মধবজীীর আলয়ে বিপন্ন হইয়াছিলেন। তাহারা তাহাকে আশ্রয় দিবার প্রলোভনে। ड्रजांशेष्त्र লইয়া একটা অট্টালিকায় আবদ্ধ করিয়া রাখে। তাহদেয়। উদ্দেশ্য ছিল, পাপাচরণ দ্বারা তাহার ব্রতভঙ্গ করাইবে । স্বামীজী পরিশেষে