পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । »ቅ፭እ› সৰ্ব্বাঙ্গীন উন্নতির কামনা নবযুগ-প্ৰবৰ্ত্তক তরুণ সন্ন্যাসীর হৃদয়কে আলোড়িত করিয়া তুলে। স্বামীজীর ভারতবর্ষ-পরিভ্রমণ কাহিনীর সম্পূর্ণ ইতিহাস এখনও পৰ্যন্ত সংগৃহীত হয় নাই। পৰ্যটনকালে যে সকল ব্যক্তির সহিত তাহার সাক্ষাৎ তইয়াছিল, তাহদের নিকট হইতে যতটুকু সংবাদ আহরিত হইয়াছে, তাহা হইতেই জানা যায় যে, তিনি যখন যেখানে গিয়াছেন, সেইখানেই তঁহার অনন্যসাধারণ প্ৰতিভা ও ধৰ্ম্মপ্ৰভাবের বলে তিনি স্থায়ী প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলেন। দেশীয় রাজন্যবৃন্দের সহিত সাক্ষাতের গৃঢ় উদ্দেশ্য ছিল,-"তাহাদিগকে সুপথে পরিচালিত করিতে পারিলে জনসাধারণের কল্যাণ সাধিত হইতে পারে। ভারতবর্ষ-পৰ্যটনের পর স্বামীজী দেখিলেন, নিদারুণ দারিদ্র্যের ভারে ভারতবাসী অবসন্নপ্ৰায়, অজ্ঞতাও দেশবাসীর অস্থিমজ্জায় সংক্রামিত । ধৰ্ম্মের নামে লোকের অন্তরে উৎসাহের সঞ্চারা হয় বটে, কিন্তু তাহাও ক্ষণস্থায়ী ! কাহারও সহিত কাহারও মতের ঐক্য নাই। পরশ্ৰীকাতরতা, ঈৰ্ষা, হিংসা, দ্বেষ ও গোড়ামীতে দেশটা উৎসল্প যাইতে বসিয়াছে। লৌকিক আচার-বিচারকেই ধৰ্ম্মের আসনে স্থান দিয়া দেশবাসী, শিক্ষিত অশিক্ষিত সকলেই আসল সত্যকে বিস্মৃত হইয়াছে। স্বামীজী দেখিলেন, যদি ভারতবর্ষ এই ভাবেই চলিতে থাকে, তবে জাতীয় মৃত্যু অবধারিত। মহাপ্ৰাণ বিবেকানন্দের হৃদয় কঁাদিয়া উঠিল। শ্ৰীগুরুর চরণতলে বসিয়া যে কাৰ্যাসাধনের মন্ত্র গ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহা সাৰ্থক করিবার জন্য তঁহার প্রাণ আবেগ-চঞ্চল হইয়া উঠিল। স্বামীজী অতঃপর হায়দ্রাবাদ হইয়া মান্দ্ৰাজে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। তাহার মান্দ্ৰাজী শিষ্যগণ চিকাগোর বিরাট ধৰ্ম্মসভায় হিন্দুধৰ্ম্মের