পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| Sekr उाझाङ-थठिउला স্বামীজীর নির্ভীক স্পষ্টবাদিতায় মহীশূরপতি অধিকতর মুগ্ধ হইয়া তঁহার পাদপূজা করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন ; কিন্তু স্বামীজীর সনির্বন্ধ প্ৰতিবাদে অবশেষে তিনি ক্ষান্ত হন। দেওয়ান বাহাদুর পণ্ডিত ছিলেন। একটি বিচার-সভায় তিনি সভাপতির আসন গ্ৰহণ করেন। পণ্ডিতগণ বেদান্তের বিচার করিতেছিলেন। অবশেষে স্বামীজী দেওয়ান বাহাদুরের অনুরোধে সুললিত সংস্কৃত ভাষার সাহায্যে বেদান্তের বিভিন্ন প্ৰকার মতবাদগুলি যে পরস্পর বিরোধী নহে, বরং একে অন্যের পরিপোষক ও সমর্থক, অপূৰ্ব্ব যুক্তির সাহায্যে সকলের সমক্ষে তাহা প্ৰতিপন্ন করিলেন । বেদান্তের অভিনব ব্যাখ্যা-শ্রবণে পণ্ডিতমণ্ডলী স্বামীজীকে সমস্বরে সাধুবাদ করিতে লাগিলেন। মহারাজ বাহাদুর স্বামীজীকে পাশ্চাত্যদেশে গমন করিয়া ধৰ্ম্মপ্রচার করিতে অনুরোধ করেন । তিনি তজ্জন্য যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করিতে স্বেচ্ছায় স্বীকৃত হন; কিন্তু স্বামীজী তখনও সংকল্প স্থির হয় নাই বলিয়া তাহার নিকট হইতে কোনপ্রকার সাহায্য-গ্রহণে সন্মত হইলেন না। পরিশেষে মহারাজের একান্ত অনুরোধ এড়াইতে না পারিয়া ক্ষুদ্র চন্দনকাঠের একটি হুক গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। মহীশূর হইতে যাত্রা করিয়া স্বামীজী কোচিনে গমন করেন। তথা হইতে মালাবার অতিক্ৰম পূর্বক সেতুবন্ধ রামেশ্বরে উপনীত হন এবং রামনাদের রাজাকে শিষ্যপদে বরণ করিয়া কন্যাকুমারী-দর্শনে যাত্ৰা করিলেন । । ভারতবর্ষের সর্বদক্ষিণ-প্ৰান্তস্থিত কন্যাকুমারী অন্তরীপের দেবীমন্দিরে উপবিষ্ট হইয়া স্বামী বিবেকানন্দের হৃদয়ে এক অপূর্ব অনুভূতির উদয় হইল। ভারতবর্ষের দারিদ্র্য, ভারতবাসীর মূর্থিতা স্মরণ করিয়া দেশবাসীর