পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । ናb¢ጋቑ হইবে না বুঝিতে পারিয়া ত্ৰিংশাদবর্ষীয় যুবক সন্ন্যাসী গাত্ৰোখান করিলেন। সেই বিপুলায়তন সভাগৃহে সহস্ৰ সহস্ৰ মহাপণ্ডিত প্রতিনিধিবর্গের সম্মুখে বক্তৃতা করিতে উঠিয়া স্বামীজীর সুগৌর মুখমণ্ডল আরক্তিম হইয়া উঠিল। একবার তিনি চকিতে চারিদিকে দৃষ্টিপাত করিলেন। ভারতীর বরপুত্ৰ উদ্দেশে দেবীর চরণে প্ৰণতি জানাইয়া বলিয়া উঠিলেন, “মার্কিণ ভগিনী ও ভ্ৰাতৃবৃন্দ ” এই অভিনব সম্বোধনে সমগ্র সভাস্থল বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ন্যায় চমকিত হইয়া উঠিল। আনন্দধ্বনিতে সভাতল মুখরিত হইল। আনন্দধ্বনি থামিয়া গেলে, ধীর-গম্ভীর-স্বরে ওজস্বিনী ভাষায় স্বামীজী বক্তব্য শেষ করিলেন। স্বামীজীর বক্তৃতায় সাম্প্রদায়িকতার বিন্দুমাত্র সংস্রব ছিল না। অন্যান্য বক্তৃগণ নিজ নিজ ধৰ্ম্মের পক্ষে ওকালতী করিয়াছিলেন। বিবেকানন্দ সুস্পষ্টভাবে বলিয়াছিলেন যে, সকল ধর্মের মূল উদ্দেশ্য,-লক্ষ্য এক। পরমহংসদেবের চরণুতলে বসিয়া সৰ্ব্বধৰ্ম্ম-সমন্বয়ের পবিত্র মন্ত্র তিনি শিখিয়াছিলেন। সেই মন্ত্র তিনি পৃথিবীর সর্ববিধ ধৰ্ম্মের প্রতিনিধিবর্গের নিকট বিশদভাবে ব্যাখ্যা অধিকাংশ ব্যক্তিই পাঁচ মিনিটের মধ্যে র্তাহার প্রতি অনুরাগী হইয়া উঠিলেন। এত অল্পসময়ের মধ্যে এত বড় দিগ্বিজয় পৃথিবীর ইতিহাসে পূর্বে কখনও সংঘটিত হয় নাই। পরদিবস যাবতীয় সংবাদপত্রে স্বামীজীর ভূয়সী প্ৰশংসা বিঘোষিত হইল। সেদিন যতগুলি বক্তৃত হইয়াছিল, সংক্ষিপ্ত হইলেও তঁাহার বক্তৃতাই বে সর্বোৎকৃষ্ট, আমেরিকাবাসিগণ মুক্তকণ্ঠে তাহা ঘোষিত করিলেন। স্বামীজীর পাশ্চাত্য জীবনী-লেখকগণ লিখিয়াছেন, “চিকাগোর বিরাট ধর্শ্বসভায় স্বামীজী যে মহাসত্যের প্রচার করিয়াছিলেন, যে অপূৰ্ব্ব