পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-প্রতিভা ,' - ' وا তৈলী।াদি দিলেন-কেহ কেহ স্ত্রীসম্ভোগের ব্যবস্থা দিলেন-রাত্রে গৃহে একদিন প্রাতে গঙ্গাতীর হইতে ঠাকুর এক যুবতী সন্ন্যাসিনীকে ডাকাইয়া, মা বলিয়া, নানা তত্ত্বকথার আলাপ করিলেন। সন্ন্যাসিনী ‘ব্রাহ্মণী’ ; সংস্কৃত সাহিতো।--বেদ-বেদান্তাদি শাস্তুে, তন্ত্ৰাদি-নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপে ও নানা সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্মপ্রণালীতে বিশেষ বুৎপন্ন । তিনিই প্ৰথম ঠাকুরের ঈশ্বরের নামে জড়বৎ ভাবকে মহাভােব বলিয়া ব্যাখ্যা করেন--সকলে বিস্মিত হয় । এই সময় উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের এক দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত দক্ষিণেশ্বরে আসিয়া বিচারের প্রার্থনা কবেন । মথুর বাবু তৎকালীন মহাপণ্ডিত বৈষ্ণবচরণকে লইয়া আসেন। পরমহংসদেব বৈষ্ণবচরণকে দেখিবামাত্ৰ ভাবে বিহ্বল হইয়া তাহার স্কন্ধোপরি আরোহণ করিলেন। বৈষ্ণবচরণ অপূৰ্ব ভাবাবেশদর্শনে “শ্ৰীচৈতন্য জ্ঞানে নূতনচ্ছন্দে স্তবাদি করিতে লাগিলেন। পশ্চিমাপণ্ডিত পরাজয় স্বীকার করিলেন। বৈষ্ণবচরণ “ব্ৰাহ্মণী’-বণিত ঠাকুরের মহাভাবের সমর্থন করেন-শাস্ত্ৰগ্ৰস্থাদি আনাইয়া লক্ষণাদি মিলাইয়া দেন । ইহার পর পরমহংসদেব ব্রাহ্মণীর উপদেশমত, তন্ত্র-কথিত বহুবিধ সাধনে সিদ্ধ হইয়া কৰ্ত্তাভজা, নবরসিক, বাউল প্রভৃতি নানাপ্রকার সাধন করেন। এই সময় তাহার পূর্ণযৌবনের অপূৰ্ব রূপলাবণ্যে চিত্ত চমকিত হইত-মহাপ্রভুর ন্যায় তাহার কথায় কথায় ভাবপুলকে চৈতন্যলোপ হইত। এমন কি, গুলের আগুন মাংসপেশী ভেদ করিলেও তঁাহার সংজ্ঞা হয় নাই। তন্ত্রোক্ত সাধনের পর তিনি বৈষ্ণবগ্রন্থাদি শ্রবণ