পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७६७ ' ' ভারত-প্ৰতিভা লাগিল। সে আমন্ত্রণে তিনি উপেক্ষা প্রকাশ করিতে পারিলেন না। আলোয়ারে উপনীত হইলে তঁহাৱা অভ্যর্থনার প্রচুর আয়োজন হইল । ‘ষ্টেশনে একটি দরিদ্র শিষ্যের সহিত স্বামীজীর সাক্ষাৎ হয় । স্বামীজীী সর্বাগ্রে তাহাকে ডাকিয়া কুশল-প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলেন। অন্যান্য সম্রাস্ত ভদ্রলোক তঁহার প্রতীক্ষায় দাড়াইয়া রহিলেন । আলোয়াবে চারি পাঁচদিন অতীত হইল। তঁহােব পূর্ব-পরিচিত বন্ধুবান্ধব ও শিষ্যমণ্ডলী এই সময় লক্ষ্য করিয়াছিলেন যে, বিশ্ববরেণ্য বিবেকানন্দ, অতুল প্রতিষ্ঠা ও মান-সন্ত্রম লাভ করিয়াও পূর্ববৎ তেমনই বন্ধুবৎসল, দীনদরিদ্রের প্রতিপালক, স্নেহপরায়ণ সন্নাসীই আছেন। বহুদিন পূৰ্ব্বে এক দরিদ্র বিধবা ভক্তিমতী মহিলার আতিথ্য তিনি গ্ৰহণ করিয়াছিলেন ; একদিন স্বামীজী উপযাচক হইয়া সশিষ্যা তাতার গৃহে “চাপাটী” ভোজনে পরিতৃপ্ত হইয়া আসিলেন । আলোয়ার হইতে স্বামীজী খোতড়ীতে গমন করিলেন । সেখানে তাহার অভ্যর্থনার জন্য বিপুল আয়োজন হইয়াছিল। কিছুকাল এখানে থাকিয়া তিনি অনেকগুলি বক্তৃতা করিয়াছিলেন। “ছুৎমার্গের” ফলে দেশ উৎসন্ন যাইতে বসিয়াছে, এই সম্বন্ধে তিনি একটি চমৎকার বক্তৃতাও দেন। রাজশিষ্যের আলয়ে কয়েকদিন মহানন্দে যাপনের পর স্বামীজী কিযেণগড়, আজমীর, যোধপুর, ইন্দোর প্রভৃতি স্থলে বক্তৃতা করিয়া হাতোয়ায় উপনীত বইলেন। সেখান হইতে আর অগ্রসর হইতে পারিলেন না। শরীর অত্যন্ত অসুস্ত হওয়াতে তঁহাকে কলিকাতায় প্ৰত্যাবৃত্ত হইতে হইল। ভাগীরথীতীরে একটি মঠ নিৰ্ম্মাণের সংকল্প বহুদিন হইতেই স্বামীজীর মনে উদিত হইয়াছিল। গুরু ভ্রাতৃগণ র্তাহার অভিপ্রায়ানুসারে উপযুক্ত