পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ। ›ፈት ভূমির সন্ধানে ছিলেন। বেলুড় গ্রামে জমীর সন্ধান পাইবামাত্র স্বামীজীর ভক্ত মিস হেনরিয়েটা মূলরের প্রদত্ত অর্থে উক্ত ভূমি ক্ৰয় করা হইল। মঠের জমী সমতল করিয়া প্ৰাচীন একতলা গৃহকে সংস্কৃত করিয়া দ্বিতলে পরিণত করিতে যে অর্থ ব্যয়িত হয়, স্বামীজীর লণ্ডনস্থ শিষ্যগণ তাহা প্ৰদান করিয়াছিলেন। বেলুড়-মঠে যে বর্তমান ঠাকুরঘরটি আছে, স্বামীজীর মার্কিণ শিষ্যা মিসেস ওলিবুল উহা নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন। শুধু তােহাঁই নহে, এই মহীয়সী নারী মঠের সন্ন্যাসীদিগের ব্যয়ভার নির্বাহাৰ্থ একলক্ষ মুদ্রাও দান করেন। বেলুড়-মঠের নিৰ্ম্মাণ-কাৰ্য্য চলিতে, লাগিল। ইতিমধ্যে আলমবাজার হইতে মঠটি গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের বাগান-বাড়ীতে উঠিয়া আসিল । স্বামীজী সশিষ্য এই স্থানে অবস্থান করিতে লাগিলেন। জানুয়ারী মাসের শেষভাগে মিস মাৰ্গারেট নোেবল ভারতবর্ষে উপস্থিত হইলেন। স্বামীজী ব্ৰহ্মচারিণী নোেবলকে ( নিবেদিতাকে ) দীক্ষাদান করিলেন । ইহঁর শিক্ষার ভর সুযোগ্য শিষ্য স্বরূপানন্দের হস্তে । অপিত হইল। স্বামীজী এই সময় শিষ্যবৃন্দকে স্বয়ং শিক্ষা প্রদান করিতে লাগিলেন ; কিন্তু শরীর ক্রমেই অসুস্থ হইয়া পড়িতেছে দেখিয়া পুনরায় বায়ু পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হইল। অবশেষে চৈত্রমাসে তিনি দাৰ্জিলিঙ্গে গমন করিলেন। তথায় যাইয়া তাহার শরীর ক্রমেই সুস্থ হইতে লাগিল বটে, কিন্তু সেই সময় কলিকাতায় প্লেগ-রোগের মহা প্রকোপের কথা অবগত হইয়া স্বামীজী চঞ্চল হইয়া উঠিলেন। ত্যাগ ও সেবার অবতার বিবেকানন্দ আর নিশ্চিন্ত থাকিতে পারিলেন না। কলিকাতায় আসিয়া গুরু-ভ্ৰাতা ও শিষ্যগণ সহ তিনি আৰ্ত্ত, বিপন্ন ও