পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शभी क्विकांनम । sts অতঃপর স্বামীজী পুনরায় শ্ৰীনগর অভিমুখে যাৱা কলিলেন। এখানে আসিয়াই তিনি অত্যন্ত গম্ভীর হইয়া উঠিলেন। প্রায়ই তিনি শিষ্যগণের অজ্ঞাতসারে স্বীয় নৌকারোহণে অন্যত্ৰ চলিয়া যাইতেম। ৪ঠা জুলাই মার্কিণ শিষ্যগণের অতি পবিত্র দিন। “স্বাধীনতার দিন” বলিয়া স্বামীজীী এতদুপলক্ষে শিষ্যগণকে বিশেষভাবে নিমন্ত্ৰণ করিবার জন্য গোপনে আয়োজন করিতে লাগিলেন। মার্কিণ শিষ্যগণ সেদিন তাহার, নৌকায় প্রাতরাশ সমাপন করিলেন । স্বামীজী ৪ঠা জুলাই উপলক্ষে একটি ইংরাজী কবিতা রচনা করিয়াছিলেন। ভাবসম্পদে কবিতাটি অতি চমৎকার । স্বামিজীর মুখে উহার আবৃত্তি শুনিয়া শিষ্যগণ পরম পরিতৃপ্ত হন। কাশ্মীরের ক্ষীরভবানীর মন্দির-দর্শনে গমনকালে স্বামীজী কোনও শিষ্যকে সঙ্গে গ্রহণ করেন নাই। এখানে স্বামীজী কঠোর তপস্যা করেন। মুসলমানের অত্যাচারে ভগ্ন মন্দির দর্শনে বিবেকানন্দের মনে হইল, “হিন্দুরা মার মন্দির রক্ষা করিতে পারিলেন না ; আমি যদি তখন থাকি,তাম, প্ৰাণপণে মারি মন্দির রক্ষা করিতাম।” বিস্ময়ের বিষয়, ঠিক সেই সময় কে যেন বলিয়া উঠিল, “তুই আমাকে রক্ষা করিস, না। আমি তোকে রক্ষা করি ?” এই অপ্রত্যাশিত ব্যাপারে স্বামীজী যার পর নাই বিস্মিত হন। পরদিবস তিনি সেই স্থানে বসিয়া সংকল্প করিলেন, "মায়ের মন্দিরটির সংস্কার করিবার জন্য অর্থসংগ্ৰহ করিবেন। আবাস্ত্ৰ তিনি অনুরূপ বাণী শুনিতে পাইলেন, “আমার ইচ্ছা হইলে কি আমি এখানে সোনার সাততালা মন্দির তৈয়ার করিতে পারি না ?” কৰ্ম্মযোণী স্বামীজী বুঝিলেন, মহামায়ার বিরাট ইচ্ছাতেই তিনি যন্ত্রবৎ চালিত হইতেছেন। এই প্রত্যাদেশের পর হইতেই স্বামীজী অত্যন্ত গম্ভীর ও বিমানা হইলেন।