পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

", tkr ভারত-প্ৰতিভা পীড়িতের সাহায্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করিতে লাগিলেন। সেই সময় অর্থের বিশেষ অভাব অনুভূত হইল। জনৈক গুরুভ্রাতা যখন বলিলেন, “এত টাকা কোথায় পাওয়া যাইবে ?” উত্তরে স্বামীজী বলিলেন, “টাকা না পাওয়া যায়, মাঠের জমী বেচিয়াও এ কাজ করিতে হইবে । আমরা সন্ন্যাসী, আমরা গাছের তলায় থাকিব ; এত লোক আমাদের চক্ষুর সমক্ষে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করিবে, আর আমরা থাকবে মঠে ?” কিন্তু সুখের বিষয়, অর্থের কিছুমাত্ৰ অভাব হইল না ; চারিদিক হইতে উপযুক্ত অর্থ-সাহায্য আসিতে লাগিল ; “যাত্রজীব তত্র শিব” এই মহামন্ত্ৰ-দ্রষ্টা ঋষি বিবেকানন্দ কৰ্ম্মের দ্বারা, সেবার দ্বারা স্বদেশবাসীকে সে যাত্রায় বুঝাইয়া দিয়াছিলেন, নারায়ণজ্ঞানে জীবমাত্ৰকে কেমন করিয়া সেবা-শুশ্ৰষা করিতে হয়। প্লেগের প্রকোপ কমিয়া গেলে স্বামিজী সে কাৰ্য্যের বনেদীবন্ত করিয়া সশিষ্য নাইনিতালে গমন করিলেন। তথা হইতে আলমোড়ায় গিয়া সেভিয়ার-দম্পতীীর বাংলায় বাস করিতে লাগিলেন। তঁহার পাশ্চাতাদেশীয় শিষ্যগণ নিকটবৰ্ত্তী আর একটি বাটীতে অবস্থান করিতে লাগিলেন। আলমোড়ায় আসিয়া স্বামীজী নিৰ্জনতার অতিমাত্র ভক্ত হইয়া উঠিলেন । বেশীক্ষণ কোন আলোচনায় যোগ দিতেন না ; নির্জনে ধ্যান-ধারণা BDBB SS SDD BDuDB DBDB S BDBD DD BDD DB BD S পাওহারী বাবা দেহরক্ষা করিয়াছেন ও ২রা জুন তারিখে মিঃ গুডউষ্টন, জররোগে উতকামণ্ডে প্ৰাণত্যাগ করিয়াছেন। স্বামিজী ধীরভাবে দুঃসংবাদ শ্ৰবণ করিলেন বটে, কিন্তু গুডউইনের অকাল-বিয়োগে একজন কক্ষ্মীর অভাব হইল, এজন্য তিনি যে অত্যন্ত ব্যথিত হইয়াছেন, তাহার শিষ্যগণ পরে তাহা জানিতে পারিয়াছিলেন।