পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆసి ভারত-প্রতিভা সংকল্প করিয়া প্ৰতাপচন্দ্ৰ ব্যাঙ্কের কাজ ছাড়িয়া দিলেন। ব্ৰাহ্মসমাজের কাৰ্য্যে, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রচারে সমস্ত জীবন সমৰ্পণ করিবার জন্য তঁহার আগ্রহ বদ্ধিত হইল , তিনি প্রচারকার্য্যে আত্মনিয়োগ করিলেন । এই সময়ে কলিকাতা হইতে “ইণ্ডিয়ান মিরার” নামক ইংরাজী ভাষায় পরিচালিত সংবাদপত্র বাহির হইতে থাকে। প্ৰতাপচন্দ্ৰ উক্ত পত্র-সম্পাদন কাৰ্য্যে সম্পাদকের সহায়তা করিতে আরম্ভ করেন। ইংরাজী ভাষায় তঁাহার অসাধারণ অধিকার ছিল । নবধৰ্ম্মে প্ৰবিষ্ট হইয়া তিনি সমাজের নানাপ্রকার দোষ বা ক্ৰটী সংশোধনের জন্য ইংরাজীতে প্ৰবন্ধ রচনা করিতেন। পঞ্চবিংশবর্ষ বয়ঃক্রমকালে প্রতাপচন্দ্ৰ আচার্যের পদে নিযুক্ত। হইয়া ধৰ্ম্ম-প্রচার করিতে আরম্ভ করেন। তিনি কখনও হিন্দী, কখনও বাঙ্গালা, কখনও বা ইংরাজী ভাষায় উপাসনা করিতেন। বক্তৃতা-শক্তি প্ৰথমতঃ তাহাতে বিকসিত হয় নাই। প্রথমাবস্থায় কোনও কিছু বলিবার প্রয়োজন হইলে তিনি দুই চারি কথার পরই নিতান্ত লজিত ও অপ্ৰস্তুত হইয়া আসন গ্ৰহণ করিতেন ; বক্তব্য বিষয় বাক্যে ফুটিয়া উঠিত না ; প্রায়ই গোলমাল হইয়া যাইত। প্ৰতাপচন্দ্র নিজের এই দুর্বলতা বুঝিতে পারিয়া উহার প্রতীকারের জন্য কঠিন সাধনা আরম্ভ । করেন। কিছুদিন তিনি বক্তব্য বিষয় কাগজে লিখিয়া লইয়া বক্তৃতা করিতে আরম্ভ করিলেন। তাহাতেও বহু ত্রুটি ঘটিত ; অনেক কথা বলা হইত না, অথবা অবান্তর কথার অবতারণা আসিয়া পড়িত। পুনঃ পুনঃ এইরূপ লজ্জা পাইয়াও র্তাহার উদ্যম-হ্রাস পায় নাই। ক্ৰমে তিনি নির্জনে আপনার বক্তৃতা-শক্তি বৃদ্ধি করিবার চেষ্টা করিতেন। সাধিলেই সিদ্ধিলাভ। অনিবাৰ্য্য। প্রতাপচন্দ্রের জীবনে তাহার পৰ্যাপ্ত উদাহরণ দেখা যায়। ক্রমে উপহার বাকপটুতা এমন বৃদ্ধি