পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতাপচন্দ্র মজুমদার। רצג পাইল যে, তিনি বাক্ষ্মী বলিয়া খ্যাতি লাভ করিলেন। তঁহার বক্তৃতাশক্তির মধ্যে এমন একটা সামঞ্জস্য ও উদ্দীপনা ছিল যে, শ্রোতৃবৰ্গ তাহার বক্তৃতা শুনিবার জন্য উন্মুখ হইয়া থাকিত। ক্রমে তাহার ধৰ্ম্মভাব ও - বক্তৃতা-শক্তির কথা ইংলণ্ড ও আমেবিকা পৰ্য্যন্ত পরিব্যাপ্ত হইল। " ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দে তিনি বিলাতে ধৰ্ম্ম-সম্বন্ধে বক্তৃতা দিবার জন্য গমন করেন। ইংরাজী ভাষায় তাহার অপূৰ্ব্ব অধিকার এবং বক্তৃতা করিবার ভঙ্গী দর্শনে ইংলেণ্ডের লোক বিস্মিত হইয়াছিল। কেশবচন্দ্রের বক্তৃতায় ইংলণ্ড মাতিয়াছিল, প্ৰতাপচন্দ্রের বাগিতাও অল্প সমাদর লাভ করে নাই। ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে চিকাগো নগরে নিখিল বিশ্বের ধৰ্ম্ম-সন্মিলনী হয়। সেই বিরাটু ধৰ্ম্মসভায় ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রতিনিধিস্বরূপ প্ৰতাপচন্দ্ৰ গমন করেন। সেই সভায় বক্তৃতা করিয়া বিবেকানন্দ আমেরিকায় ভাব-রাজ্যে যেরূপ যুগান্তুর উপস্থিত করেন, প্ৰতাপচন্দ্রও “এসিয়ার কাছে জগতের ধৰ্ম্ম ঋণ” সম্বন্ধে একটি গবেষণাপূর্ণ বক্তৃতা করিয়া শ্রোতৃবৰ্গকে মুগ্ধ করিয়াছিলেন। বোষ্টন নগরে প্রতাপচন্দ্র লাউয়েল ইনষ্টিটিউটে ধৰ্ম্ম-সম্বন্ধে চারিটি বক্তৃতা করেন। সে বক্তৃতা শ্রবণের জন্য এত শ্রোতার সমাবেশ হইত যে, তঁহাকে বাধা হইয়া প্ৰত্যেক বক্তৃতা দুইবার করিয়া দিতে হইয়াছিল। প্রতাপচন্দ্রের বক্তৃতায় মার্কিণগণ বিশেষভাবে আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। বিশিষ্টতা না থাকিলে আমেরিকায় সে ব্যক্তির আদর হয় না। প্ৰতাপচন্দ্রের বিশিষ্টতা ছিল বলিয়াই তিনি মার্কিণ শিক্ষিত-সম্প্রদায়েয়া শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে প্ৰতাপচন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারার্থ পুনরায় ইংলণ্ডে গমন করিয়াছিলেন। ইংলণ্ড হইতে তিনি পৃথিবীর অন্যান্য স্থানও পৰ্যটন করেন। জাপান প্রভৃতি দেশেও তিনি গিয়াছিলেন; সর্বত্রই ধৰ্ম্ম-সম্বন্ধে