ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত বীরসিংহ গ্রামে বঙ্গাব্দ ১২২৭ সালের ১১ই আশ্বিন, ইংরাজী ১৮২০ খৃষ্টাব্দের ২৬শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবা দ্বিপ্রহরে কীৰ্ত্তিচন্দ্ৰ ঈশ্বপচন্দ্ৰ ভূমিষ্ঠ হন। তঁহার পিতার নাম ঠাকুরদাস ‘বন্দোপাধ্যায় ; জননীর নাম ভারতী দেবী | বালক জন্মগ্রহণ করিবার কিয়াৎকাল পরে, পিতামহ রামজয় বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের নির্দেশক্রমে গ্রঙ্কাচাৰ্য্য কেনারাম ঠাকুল ঈশ্বরচন্দ্রের জন্মকোষ্ঠী প্ৰস্তুত করেন। গণনায় বালকের ভবিষ্যৎ-জীবন অত্যন্ত শুভজনক বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত হয় । ঈশ্বরচন্দ্রের পিতা সামান্য বেতনে কলিকাতায় চাকরী করিতেন। সামান্য আয়ে সংসারের সর্বপ্রকার অভাবের প্রতীকার হইত না ; কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্রের জন্মগ্রহণের পর হইতেই দরিদ্র ব্ৰাহ্মণ পরিবারে ধীরে ধীরে কমলার প্রসন্ন দৃষ্টিপাতের পরিচয় পাওয়া যাইতে লাগিল। পল্লীর নরনারীরা কথাপ্রসঙ্গে সবিস্ময়ে বলিত, বন্দ্যোপাধ্যায়-পরিবারে “সৌভাগ্যবশে ভাগ্যবান পুত্ৰ আবিভূতি হইয়াছে। পল্লীর ইতিরসাধারণ সকলেই ঈশ্বরচন্দ্রকে বাল্যাবধি মেহের ও গ্ৰীতির পাত্র বলিয়া মনে করিান্ত ।