পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-প্ৰতিভা סר 3 পিতামহ রামজয়ের ইচ্ছানুসারেই পৌত্রের “ঈশ্বর” নামকরণ হয়। বাল্যকাল হইতেই ঈশ্বরচন্দ্ৰ অত্যন্ত জেদী ছিলেন ; যাহা ধরিতেন, তাহা সম্পূর্ণ না করিয়া কোনও মতেই নিবৃত্ত হইতেন না। তঁহার এই “একগুয়েমি” ভাব চিরদিনই তঁহার জীবনে পরিলক্ষিত হইয়াছিল। বিশেষতঃ যৌবনে ও বাৰ্দ্ধক্যে তঁহার দৃঢ়-প্রতিজ্ঞার প্রভাব পূর্ণরূপে প্রতিভাত হয়। পঞ্চম বৎসর বয়ঃক্রমকালে ঈশ্বরচন্দ্রের বিদ্যাশিক্ষা আরম্ভ হয়। বীরসিংহ গ্রামের অবস্থা তখন বিশেষ উন্নত হয় নাই। গ্রাম্য পাঠশালাতেই ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাশিক্ষার্থ প্রেরিত হইলেন। পাঠশালার গুরুমহাশল্পের নাম, কালীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। ইনি অতি যত্ন সহকারে বালকদিগকে শিক্ষা দান করিতেন। গ্ৰাম্য পাঠশালায় অধ্যয়ন-কালেই ঈশ্বরচন্দ্রের প্ৰতিভার স্ফারণ দেখা গিয়াছিল। তিন বৎসরে পাঠশালায় পাঠ তিনি সাঙ্গ করেন। তঁহার হস্তাক্ষর অতি চমৎকার ছিল। গুরুমহাশয়, ঈশ্বরচন্দ্রের অধ্যায়নানুরাগ দেখিয়া ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিলেন, “এই বালক উত্তরকালে দেশপ্ৰসিদ্ধ ব্যক্তি হইবে।” পাঠশালায় অধ্যয়নকালে ঈশ্বরচন্দ্ৰ প্লীহা ও উদরাময়ে অত্যন্ত কষ্ট পাইয়াছিলেন। অনেক কষ্টে ছয় মাস চিকিৎসার পর মাতুলালয়ে গিয়া তিনি আরোগ্য লাভ কবেন । গুরুমহাশয় কালীকান্তের উপর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অটল শ্রদ্ধা ঐকান্তিকী ভক্তি ছিল। কালীকান্তের জীবদ্দশায় ঈশ্বরচন্দ্ৰ তাঁহাকে ভক্তি ত করিতেনই, তাহার অবিদ্যমানেও গুরুপত্নী এবং তদীয় সন্তানগণের নানাপ্রকার সাহায্য করিয়া গুরুর প্রতি প্ৰগাঢ় শ্রদ্ধার পরিচয় দিয়া গিয়াছেন। ተአ বাল্যকালে বিদ্যাসাগর মহাশয় অত্যন্ত দুরন্ত ছিলেন। তঁহার । শিশুসুলভ অত্যাচারে পল্লীর অনেকেই ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িত। তাহাঙ্ক: