পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর। ציג দুরন্তপণায় বহু কিংবদন্তী প্ৰসিদ্ধ আছে। মথুর মণ্ডল নামক জনৈক প্রতিবেশীর প্রতি ঈশ্বরচন্দ্রের দৌরাত্ম্য অত্যন্ত অধিক ছিল। মথুরের স্ত্রী ও জননী বালক ঈশ্বরচন্দ্রকে অত্যন্ত স্নেহ করিত। এই স্নেহ ও গ্ৰীতির বিনিময়ে বালসুলভ দুষ্টবুদ্ধি-প্ৰণোদিত হইয়া ঈশ্বরচন্দ্ৰ প্ৰত্যহ পাঠশালায় গমনকালে মথুরের বাড়ীর দ্বারদেশে মলমূত্ৰ ত্যাগ করিয়া যাইতেন। মথুরের মাতা ও স্বী অকুষ্ঠিতচিত্তে সেই মলমূত্র পরিষ্কার করিত । একবার ঈশ্বরচন্দ্রের কণ্ঠনালীতে ধান্যের “সুঙা” বিধিয়া যায়। তিনি উহার যন্ত্রণায় অস্থির হইয়া পড়েন। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহী অনেক কষ্টে উক্ত “সুঙা” বাহির করিয়া দেন। ধান্যক্ষেত্রের পাশ্ব দিয়া গমনকালে তিনি প্রায়ই ধানের শীষ ছিড়িয়া লইয়া চর্বণ করিতেন। একদিন ঐ কাৰ্যোর ফলেই তিনি উল্লিখিত রূপ কষ্ট পাইয়াছিলেন । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট অনেকেই তঁহার বাল্যকালের দুরন্তপণার অনেক কাহিনী শুনিয়াছিলেন। কোনও বালককে বাল্যকালে দুষ্টমী করিতে দেখিলে তিনি বলিতেন, “আমিও বাল্যকালে ভারী দুষ্ট ছিলাম। পাড়ার বাগানের ফলমূল পাড়িয়া খাইতাম, কেহ কাপড় শুকাইতে দিয়াছে দেখিলে তাহার উপর মল-মূত্ৰ ত্যাগ করিতাম, আমার জ্বালায় পাড়ার লোক অস্থির হইয়া উঠিত ” পাঠশালার বিদ্যা পরিসমাপ্ত হইলে গুরুমহাশয় একদিন ঠাকুরদাসকে বলেন যে, তাহার যাহা বিদ্যা ছিল ঈশ্বরচন্দ্র তাহা আয়ত্ত করিয়াছেন। এখন কলিকাতায় লইয়া গিয়া পাঠের বন্দোবস্ত করা আবশ্যক। সেই সময় ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহ রামজয় তর্কভূষণ মহাশয় পরলোকযাত্রা করেন । , এই ঘটনার কিছুকাল পরে ১২৩৬ সালের কাৰ্ত্তিক মাসের শেষ ভাগে :